অনলাইন ডেস্ক
সম্মেলনে ইলেকট্রিক বাসের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশ্বনেতারা। পাশাপাশি এ ধরনের যানবাহন চালু করার জন্য পরিবেশবাদীরা বেশ দাবি তুলেছেন। বাংলাদেশে চালু হতে যাওয়া বাস রুট রেশনালাইজেশন ও কোম্পানির মাধ্যমে বাস পরিচালনা ব্যবস্থায় এ ধরনের ইলেকট্রনিক বাস যুক্ত করার সিদ্ধান্ত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তুরস্ক সফররত মেয়র আতিক বলেন, ইলেকট্রিক বাস চালু করলে বায়ুদূষণ রোধের পাশাপাশি জ্বালানি ব্যয় কমবে। আর নাগরিকরা একটি নিরাপদ ও আরামদায়ক যানবাহন পাবে। বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের মেয়রদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকাকে যানজটমুক্ত শহর হিসেবে গড়তে হবে। আর বায়ুদূষণ রোধে আমি এটা করেই ছাড়বো। এটা আমার সিদ্ধান্ত। এরইমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছি। তুরস্কের মেয়রের সঙ্গেও আমি এ বিষয়ে কথা বলবো। যেসব শহরে ইলেকট্রিক বাস চালু রয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবো। রাজধানীতে বর্তমানে ১২০টি কোম্পানির মালিকানাধীন প্রায় সাত হাজার গণপরিবহন চলাচল করছে। এসব গণপরিবহনের মধ্যে মাত্র ৩০৮টি বাস সিএনজিতে চলে। বাকি বাসগুলো চলে ডিজেলের মাধ্যমে। ফলে যানবাহন থেকে প্রতিনিয়ত নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশের বিপর্যয় ঘটায়। এছাড়া বিআরটিসির নিবন্ধন অনুযায়ী ১১ লাখের বেশি যানবাহন রয়েছে, যা প্রতিনিয়ত কার্বন নিঃসরণ করে।
গত মাসে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৬) আগত দর্শনার্থীদের জন্য ইলেকট্রিক বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে জানান দেওয়া হয়, পরিবেশের জন্য জ্বালানি তেল দ্বারা চালিত যানবাহন ক্ষতিকর। সম্মেলন থেকে ইলেকট্রিক বাসের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ওই সম্মেলনে মেয়রদের নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন আতিকুল ইসলাম।
মেয়র বলেন, আমি জলবায়ু সম্মেলনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। ঢাকায় এটা কার্যকর করেই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। আমি মনে করি ঢাকাকে বাঁচাতে হবে। সেই দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী আমাদের দিয়েছেন। বিদেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সুন্দর পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করবো।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা