সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা জেলার সব সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুসারে তামাক বিরোধী সাইনেজ স্থাপন করা হবে। বুধবার (১১ মার্চ) সিভিল সার্জন কার্যালয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের যতো দ্রুত সম্ভব তামাক বিরোধী সাইনেজ স্থাপনের নির্দেশ দেন। আইন অনুসারে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে সম্পূর্ণ তামাকমুক্ত করতেই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তামাকমুক্ত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুসারে, সব স্বাস্থ্যকেন্দ্র শতভাগ তামাকমুক্ত এবং সেখানে তামাক বিরোধী সাইনেজ থাকা বাধ্যতামূলক। অথচ, সম্প্রতি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, রাজধানী ঢাকার প্রায় অর্ধেক সরকারি হাসপাতালে তামাকবিরোধী সাইনেজ নেই। ফলে, হাসপাতালগুলোতে তামাক ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না। জরিপে ঢাকার ৭১ ভাগ সরকারি হাসপাতালে ধূমপান হয়, এমন প্রমাণ হিসেবে সিগারেটের বাট, ধোঁয়ার গন্ধ ইত্যাদি পাওয়া গেছে। আর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে পানের পিক, চুনের দাগ দেখা গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় ওই জরিপের ফল উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার (ক্লিনিকাল রিসার্চ) ডা. শেখ মো. মাহবুবুস সোবহান। এসময় সভায় উপস্থিত ঢাকা জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকদের তামাকমুক্ত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোগীদের তামাক ছাড়ার ব্যাপারে পরামর্শ দিতেও অনুরোধ জানান।
এরপরই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মেনে চলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা