অনলাইন ডেস্ক
তিনি বলেন, কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিকে ঘায়েল করার জন্য এ পাঁয়তারা করেছেন ইউনূস তার প্রিয়জন হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে। নোবেলে শান্তি পুরস্কারকে অশান্তির কাজে লাগাতে যুদ্ধবাজ আমেরিকার রাজনীতিবিদ হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে গাঁট বেঁধেছেন ড. ইউনূস।
মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন : গ্রামীণ টেলিকম দুর্নীতি : ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বাইডেন প্রশাসনে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে, এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নেও তাদের লবিস্ট আছে। ড. ইউনূস অনেক জায়গায় বলেছেন, জীবনের শেষে এসেও প্রতিশোধ নেবেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশিরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতি উৎসাহী হয়ে উঠেছে।
নওফেল বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেননি। অপশাসন, দুঃশাসন সকল বিষয়ে প্রতিবাদ করেছেন সুশৃঙ্খলভাবে শান্তির মধ্য দিয়ে। দেশে একটা গোষ্ঠী অশান্তি চায়। তাদের লক্ষ্য সরকারকে বিপাকে ফেলা। কারণ দেশে অশান্তি সৃষ্টি হলেই অন্য দেশগুলো সুযোগ পায়। ব্যবসায়ী দিক থেকে তারা সুবিধা নেয়।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। প্রবন্ধের ওপর আলোকপাত করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিনহাজ উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।
আরও পড়ুন : ড. ইউনূসকে শ্রমিকদের লভ্যাংশ দেওয়ার রায়ে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু কতটা শান্তি প্রিয় ছিলেন তা তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে প্রতিফলিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করতে হবে। সামনের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্তর্জাতিক অনৈতিক চাপ সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকারকে আরও একবার সুযোগ দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.কামালউদ্দীন আহমদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা