লাইভ ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখছেন বক্তারা।
সারাদেশে ৪৭৭০০ টি কিট ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জনদেরকে দেয়া হয়েছে
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার : ডেঙ্গু রোগের বিষয়ক সব ধরণের তথ্য থাকবে এই সরকারি এ্যাপসে। এখান থেকে যে কেউ জেনে নিতে পারবেন তিনি আসলে ডেঙ্গু প্রবণ এলাকায় আছেন কিনা! মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) ন্যাশনাল ম্যালেরিয়া ইলিমিনেশন এন্ড এডিস ট্রান্সমিটেড ডিজিজ, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফসানা আলমগীর খান লাইভ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মুজিব বর্ষে এপ্রিল মাসকে ডেঙ্গু মাস হিসেবে চিন্থিত করা হয়েছেন। কেননা, এপ্রিল মে মাসে বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় ডেঙ্গুর সময় শুরু হয়ে যায়।
তিনি লাইভ ব্রিফিংয়ে বলেন, তারা একটা জরিপ করেছে ডেঙ্গুর এডিস মশা সম্পর্কে, এতে মৌসুম পূর্ববর্তী যে জরিপ হয়েছে সেটা ৫ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ পযর্ন্ত। ৫৮টি ওয়ার্ডে ২৯৯৬ টি বাড়িতে ১০০টি স্থানে ২২টি টিম কাজ করেছে। এতে ৭২টি এডিস পজিটিভ স্থান পেয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা যে ১০০ টি হাউজ হোল্ড নিয়েছি সেখানে দেখা যাচ্ছে, ব্রুটো ইনডেক্স- যেগুলোতে এডিসের অস্তিত্ব পেয়েছি। এটা যদি জিরো হয় তাহলে আমাদের নেই। যদি ১০ এর উপরে থাকে তাহলে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিন্থিত করেছে। এতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে একটি এবং দক্ষিণ সিটি র্কপোরেশনে দুটি পেয়েছি
ডা. আফসানা বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পােরেশন ৩১ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পােরেশনে ১৫. ১৬, ১৮ ৪১, ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। শুধুমাত্র সিটি কর্পােরেশনে উপর নির্ভর না করে যদি সচেতন হই তাহলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারব। যেখানে কনস্ট্রাকশনের কাজ হচ্ছে সেখানে আমরা এডিস মশার অস্তিত্ব পেয়েছি। এছাড়া, পানির জারে এই মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমিউনিকেবল ডিজিজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মিলে ডাটাভিত্তিক এ্যাপস তৈরি করেছে। ডেঙ্গুর ট্র্যাকিং এবং ম্যানেজমেন্টে সরকারকে ডেঙ্গু বিষয়ে অন্যান্য যেকোন সংক্রামক রোগে তার প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে বিশ্লেষণ জানাতে পারি। কোন এলাকায় ডেঙ্গু হচ্ছে। গত ২০ বছরে কতজন আক্রান্ত হয়েছে সেই তথ্য পাওয়া যাবে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা জানা যাবে। কোন হাসপাতালে গেলে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা পাবে সেটিও জানা যাবে। হেলথ কেয়ার প্র্রোভাইডারদের সরবরাহ আছে কিনা, এম্বুলেন্সের স্বল্পতা আছে কিনা তা জানা যাবে।
এসময় ব্রিফিংয়ের শুরুতে ডেঙ্গু, চিকণগুনিয়া এবং ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ সেলের পরিচালক ডা. শাহেলা ফেরদৌসী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এডিস মশা নিয়ে জরিপ হয়েছে। বরাবরের মতো এবারও আমরা প্লাস্টিকের ড্রাম, নির্মানাধীন ভবনে জমে থাকা পানি, খাবার শেষে ফেলে দেয়া প্যাকেট, পরিত্যক্ত খেলনায় এডিস মশার অস্বিত্ব পাওয়া গেছে।
তিনি সকলকে নিজ বাসা, বাড়ির ছাদ, ফুলের বাগান এগুলো ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান। পাশাপাশি রাতে সবাইকে মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর আহ্বান জানান। সারাদেশে ৪৭ হাজার ৭শ টি কিট ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জনদেরকে দেয়া হয়েছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা