অনলাইন ডেস্ক
তিনি বলেন, প্রযুক্তির সুযোগ সুবিধাগুলোর মাধ্যমেই বাংলা ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে হবে। পালের নৌকা কিংবা লাঙল-জোয়ালে আমরা ফিরে যেতে পারবো না। ডিজিটাল প্রযুক্তি দিয়েই আমরা হারানো ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে পারবো।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় এসএমই ফাউন্ডেশন এবং এএফডিবির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ঐতিহ্য সংরক্ষণে প্রযুক্তির ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বাংলার ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে ডিজিটাল পণ্যের আমদানিকারক দেশে থেকে রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর অর্জনকে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ৮০টি দেশে আমরা সফটওয়্যার রপ্তানি করছি। নেপাল, নাইজেরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত ডিজিটাল যন্ত্র রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বিশ্বে দ্বিতীয় উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক হিসেবে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রযুক্তিবান্ধব নীতির উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল পণ্যের আমদানিকারক দেশ থেকে উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠায় সংকল্প ঘোষণা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশের পাশাপাশি ডিজিটাল পণ্য রপ্তানিতে অভাবনীয় সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে শতশত বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে উন্নত বিশ্বের সমান্তরালে চলার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্বভার গ্রহণকালে বাংলাদেশের টেলিডেনসিটি ছিল ৩০ শতাংশ। বর্তমানে এই হার প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে যেখানে মোবাইল গ্রাহক ছিল চার কোটি ৪৬ লাখ, বর্তমানে তা ১৮ কোটি ২০ লাখ অতিক্রম করেছে। ওই সময়ে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল মাত্র ৪০ লাখ, বর্তমানে এ সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি ৯১ লাখ। ব্যান্ডউইথের ব্যবহার যেখানে ছিল ৭ দশমিক ৫ জিবিপিএস, বর্তমানে তা ২৭০০ জিবিপিএস অতিক্রম করেছে।
মন্ত্রী জানান, অনেকেই মনে করেন ডিজিটাল যুগে ডাকঘরের গুরুত্ব আর নেই। কিন্তু আমরা ডাকঘরকে ডিজিটাল করছি। বর্তমানে ডাকঘরই ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হিসেবে গড়ে উঠছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলার ঐতিহ্যের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমাদের ভাষা। মোস্তাফা জব্বার কম্পিউটারে বাংলা ভাষা প্রয়োগ করে অতি সহজভাবে বাংলা লেখার ঐতিহাসিক যে কাজটি করেছেন, তার ফলেই ডিজিটাল যুগে বাংলা ভাষা মাথা উঁচু করে রয়েছে।
আলোচনা সভায় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তি ও ডিজাইনকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। ওয়ালটন প্রতিনিধি এস এম জাহিদ হাসান জানান, ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল পণ্যে বাংলাদেশে প্রস্তুত লেখা থাকার মধ্য দিয়ে আমাদের দেশ ও ভাষার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে ছড়ানো হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি ডিজিটার রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পরে মন্ত্রী এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত তাঁত শিল্পসহ দেশের ঐতিহ্যবাহী কুটিরশিল্প পণ্য মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে এএফডিবির কর্ণধার মানতাশা আহমেদ, ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান এবং পাঠাওয়ের সিইও ফাহিম আহমেদ বক্তব্য দেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা