ডিউটিরত অবস্থায় চিকিৎসকের মাধ্যমে নার্সকে ধর্ষণের ঘটনায় মহিলা পরিষদ উদ্বেগ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। রবিবার (১ মার্চ) সংগঠনটি থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে মহিলা পরিষদ বলেছে, ১ মার্চ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি যে, সাতক্ষীরা শহরের শিমুল ক্লিনিকের এক চিকিৎসকের মাধ্যমে একজন নার্সকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায় যে, সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার ওই তরুণী ঘটনার ১৫ দিন আগে শহরের শিমুল ক্লিনিকে নার্সের চাকুরি নেন। চাকুরিতে যোগদানের পর প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন চিকিৎসক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ। কুপ্রস্তাব প্রত্যাখান করায় তাকে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০ টার দিকে কৌশলে কোমল পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক পান করান তিনি। এক পর্যায়ে ঐ নার্স অচেতন হয়ে পড়লে চিকিৎসক রিয়াজ ও কর্মচারী মাহমুদ তাকে ক্লিনিকের তিন তলা থেকে ছাদের উপর নিয়ে যান। অচেতন অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করেন চিকিৎসক রিয়াজ। রাত সাড়ে তিনটার দিকে জ্ঞান ফেরার পর বাইরে আসার চেষ্টা করলে তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন ক্লিনিকের মালিক শহীদুল ও তার ছেলে মিঠুন। শুক্রবার সদর থানা পুলিশ শিমুল ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের শিকার ওই নার্সকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ চিকিৎসকের মাধ্যমে নার্সকে ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িতদের যথাযথ শাস্তি, ঘটনার শিকার নার্সের সুচিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছে। সেই সাথে দেশব্যাপী ধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা