অনলাইন ডেস্ক
স্পেনের মুরশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিংহ্যামের গবেষকেরা যৌথভাবে এই গবেষণা চালান। কয়েকজন ঋতুবন্ধ মহিলাদের সকালেবেলা চকলেট খাওয়ানো হতো এই গবেষণায়। তাদের শরীরে এর কী ধরনের প্রভাব পড়ছে, তা বোঝার চেষ্ট চালানো হয়েছিল।
এফএএসইবি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে চকলেট খাওয়ায় কোনও রকম ওজনের হেরফের হয়নি তাদের। বরং দেখা গিয়েছে, ঘুম, ক্ষুধা, খাওয়ার ইচ্ছায় প্রভাব পড়েছে চকলেট খাওয়ায়।নিয়মিত ডার্ক চকলেট খাওয়া শুরু করে শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা এতটা বৃদ্ধি পায় যে দেহে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের খোঁজ পাওয়া মুশকিল হয়ে পরে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি আরও সব জটিল রোগও ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে গেলে যে শরীর নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকে না, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ডার্ক চকলেটে দুধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। একটা হল ফ্লেবোনয়েড এবং দ্বিতীয়টি হল পলিফেনলস, যা নানাভাবে শরীরের গঠনে সাহায্য করে থাকে।
রোজ সকালে চকলেট খেলে রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে এবং বেশি পরিমাণে ফ্যাট ঝড়ছে বলে দেখা গিয়েছে। রোজ রাতে খেলে দেখা গিয়েছে পরেরদিনের মেটাবলিজম হার এবং শরীরচর্চা করার ক্ষমতায় প্রভাব পড়ছে।
ডার্ক চকলেটে কোকোয়া থাকে যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। টানা ৮ সপ্তাহ যদি নিয়মিত ডার্ক টকলেট খাওয়া যায়, তাহলে একদিকে যেমন রক্তে সুগারের মাত্রা কমতে শুরু করে, তেমনি রক্তচাপও স্বাভাবিক হয়ে যায়। দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি ব্লাড প্রসারের প্রকোপও বেড়ে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে ডার্ক চকলেট খাওয়ার প্রয়োজনও যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা