অনলাইন ডেস্ক
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন। এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাতের নেতৃত্বস্থানীয় দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে দুর্বল করবে এবং পরবর্তী মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করা আরও কঠিন করে তুলবে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
শপথ নেওয়ার প্রায় আট ঘণ্টা পর জারি করা একটি নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে— ডব্লিউএইচও-এর “কোভিড-১৯ মহামারির ভুল ব্যবস্থাপনা” এবং “জরুরিভাবে প্রয়োজন এমন সংস্কারে ব্যর্থতা”।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক এই জনস্বাস্থ্য সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে “অন্যায়ভাবে বেশি অর্থপ্রদানের” দাবি করে। এছাড়া চীন এই সংস্থায় কম অর্থ প্রদান করে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটি অপ্রত্যাশিত নয়। ট্রাম্প কার্যত ২০২০ সাল থেকেই ডব্লিউএইচও’র বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। সেসময় তিনি করোনভাইরাস মহামারি নিয়ে সংস্থাটিকে আক্রমণ করেছিলেন এবং এই সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল বন্ধ করার হুমকিও দিয়েছিলেন।
এরই জেরে ২০২০ সালের জুলাই মাসে বৈশ্বিক এই সংস্থাটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার জন্য আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন ট্রাম্প।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনা মঞ্চে প্রথম ভাষণের পর, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকেও বেরিয়ে আসার আদেশে সই করেন। এছাড়া বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন ট্রাম্প।
এর পাশাপাশি দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পানামা খাল ফেরত নেয়া, বিদেশি পণ্যের আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির মতো কয়েকটি ঘোষণা দিয়েছেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা