ভারতীয় ট্রেনের ইতিহাসে এ এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। ট্রেনের সময়সূচি, ট্রেন দেরি করা নিয়ে মানুষের ভোগান্তি কম নয়! এবার ট্রেন দেরি করার কারণে ভুক্তভোগী যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে নজির গড়ল Tejas Express!
সদ্য চালু হওয়া তেজস এক্সপ্রেসে ভ্রমণকারী যাত্রীদের প্রত্যেককে ২৫০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ট্রেন প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে চলায় এই ক্ষতিপূরণ পাবেন যাত্রীরা।
শুধু ক্ষতিপূরণ বলেই নয়। শনিবার দেরির জন্য ক্ষমা চেয়ে ২ দিকে যাত্রা করা মোট ৯৫১ জন যাত্রীকে বিনামূল্যে চা, লাঞ্চ ও কিছু রিফ্রেশমেন্ট দেয় আইআরসিটিসি। যার প্যাকেটের ওপর লেখা ছিল ‘সরি ফর দ্যা ডিলে’। এটি যেমন ভারতীয় রেলে এক নয়া অধ্যায়ের সূচনা করল তেমনই ভারতীয় রেলে সফররত যাত্রীদের মনে আশার আলো জাগাল।
লখনউ থেকে ওই ট্রেনে চড়েন প্রায় ৪৫১ জন যাত্রী এবং প্রায় ৫০০ জন নয়াদিল্লি থেকে ওই ট্রেনে চড়েন। লখনউয়ের আইআরসিটিসি’র চিফ রিজিওনাল ম্যানেজার (সিআরএম) অশ্বিনী শ্রীবাস্তব বলেন, “আমরা সমস্ত যাত্রীদের মোবাইল ফোনে একটি লিঙ্ক পাঠিয়েছি যাতে তাঁরা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন।
যারা আবেদন করবেন তাঁরা টাকা ফেরত পাবেন।” ৪ অক্টোবর লখনউ থেকে চালু হয় এই ট্রেনটি। তেজস হ’ল ভারতীয় রেলের প্রথম বেসরকারি ট্রেন (first corporatised train of Indian Railways) যা ভারতীয় রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (IRCTC) দ্বারা পরিচালিত।
ট্রেন দেরি করলে যাত্রীরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন ভারতের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম! ক্ষতিপূরণ তখনই দেওয়া হয় যখন ট্রেন নির্দিষ্ট সময়সূচির পরে গন্তব্যস্থলে পৌঁছবে। যদি ট্রেন দেরিতে যাত্রা শুরু করেও নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশন যাত্রীদের পৌঁছে দিতে পারে তবে আর ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।
শনিবার তেজস এক্সপ্রেস ভোর ৬ টা ১০ মনিটে লখনউ থেকে ছাড়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে প্রস্থানের পরিবর্তে তা সকাল ৮.৫৫ মিনিটে লখনউ থেকে যাত্রা শুরু করে। এবং বেলা ১২.২৫-এর পরিবর্তে ৩.৪০ মিনিটে নয়াদিল্লিতে পৌঁছয়। নয়াদিল্লি থেকে ফের বেলা ৩.৩৫-এর পরিবর্তে তা ৫.৩০ মিনিটে রওনা হয়।
এই বিলম্বের মূল কারণ ছিল ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ। নির্দিষ্ট যাত্রার আগে যে কোনও ট্রেনের প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণ করতেই হয় নিয়ম অনুসারে। শনিবার ভোর চারটে নাগাদ তেজসের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হতে পারেনি কারণ ইয়ার্ডে থাকার সময় লখনউ স্টেশনেই ট্রেনের একটি কোচ বেলাইন হয়ে পড়ে।এনডিটিভি।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা