ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসের যাত্রীদের নিয়ে সেন্টমার্টিন যায় এই জাহাজটি
সেন্টমার্টিন দ্বীপের মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে যেসব ট্যুরিস্টরা যান তাদের জন্য গ্রীন লাইন পরিবহন দিচ্ছে জাহাজ সেবা। সম্পূর্ণ এসি ১৩০ সীটের এই ট্যুরিস্ট জাহাজটি প্রতিদিন সকালে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
তবে, বর্ষাকালে এটি বন্ধ থাকে। পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ায় আগামী ডিসেম্বর মাসে আবার এই রুটে জাহাজটি চলাচল করবে এমনটিই জানিয়েছেন গ্রীন লাইন কর্তৃপক্ষ।
গ্রীন লাইন কর্তৃপক্ষ জানায়, ঢাকা থেকে গ্রীন লাইনের যে বাসগুলো সেন্টমার্টিন যায় সেগুলোর সঙ্গে এই জাহাজটি যুক্ত থাকে । সাধারণত দেখা যায়, ঢাকা থেকে বাসের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে অনেক পর্যটক তার নির্ধারিত জাহাজ পাননা। ফলে, সেদিন আর তারা সেন্টমার্টিন পৌঁছাতে পারেন না। এক্ষেত্রে গ্রীন লাইনের নিজস্ব জাহাজ সার্ভিস থাকায় এটি যাত্রীদের জন্য নিরাপদ হয়। শুধু ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গ্রীন লাইন বাসটি পৌঁছানোর পর সেই বাসের যাত্রী নিয়ে জাহাজটি টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। একারণে যাত্রীদের জাহাজ ধরতে না পারার কোন দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়না।
আরও পড়ুন : ঢাকা-ভোলা নৌ রুটে গ্রীন লাইন-২ ক্যাটামারান উদ্বোধন সোমবার
গ্রীন লাইন পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, সেন্টমার্টিন রুটে আমাদের একটি ভিআইপি জাহাজ চলাচল করে। এটি সম্পূর্ণ এসি জাহাজ। প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টায় এই জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে বিকেল তিনটা ১৫ মিনিটে।
তিনি জানান, এই জাহাজটি ২০১৫ সাল থেকে এই রুটে নিয়মিত চলাচল করছে। এতে বিজনেস ক্লাসের টিকিটের মূল্য ৯০০ টাকা, ইকোনমি ক্লাসের টিকিটের মূল্য ৭৫০ টাকা।
ডেন্টাল সার্জন মরিয়ম তমা বলেন, গ্রীন লাইন পরিবহন সার্ভিসের মাধ্যমে টেকনাফ ভ্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, গতবছর আমি গ্রীন লাইনের সার্ভিস নিয়ে ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করি। এটার সার্ভিস আমার খুবই ভাল লেগেছে। সরাসরি বাসের সঙ্গে যুক্ত থাকায় জাহাজ থাকায় সেন্টমার্টিন যাবার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত ছিলাম।
ফেসবুক :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা