অনলাইন ডেস্ক
অর্থাৎ এটা ব্রিটিশ মুদ্রায় প্রথমবারের মতো কোন কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘু মানুষের মুখ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এ খবর প্রকাশ করেছে।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধও করেছিলেন স্বাধীনতাকামী শাসক টিপু সুলতান। নূরের বাবা ইনায়েত খানের জন্ম গুজরাটের বরোদায়। তার নানা বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ওস্তাদ মাওলা বখশ খান। মাওলা বখশ খানের স্ত্রী কাসিম বিবি টিপু সুলতানের নাতনি ছিলেন।
শের-ই-মহীশুর টিপু সুলতানর বংশধর নূর এনায়েত খান ঠাঁই করে নেবেন ব্রিটিশ মুদ্রায়। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক পর্যালোচনা করছেন।
জার্মানির দাখাউ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে ১৯৪৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল নূর এনায়েত খানকে। ওই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৩০ বছর।
নাৎসি ক্যাম্পে মারা যাওয়ার সময় তিনি শুধু বলেছিলেন– লিবের্ৎ। ফরাসিতে যার অর্থ– স্বাধীনতা! ব্রিটিশ গুপ্তচর ছিলেন নূর। গুলি করে মারার আগে নূরকে নির্মমভাবে পেটানো হয়।
মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ব্রিটেনের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘জর্জ ক্রস’ দেয়া হয়েছিল নূর এনায়েত খানকে। নূর এনায়েত খান সেই চার নারীর একজন যিনি এমন সম্মান পেয়েছেন।
মরনোত্তর ‘ক্রোয়া দ্য গ্যের’ (ফ্রান্সের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সম্মানও দেয়া হয়েছিল তাকে। লন্ডনের গর্ডন স্কোয়ারে নূর এনায়েত খানের একটি মূর্তি রয়েছে।
নূর এনায়েত খান ছাড়াও স্মারক মুদ্রার দেখা যেতে পারে ক্রিমিয়ার যুদ্ধে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ নার্স মেরি সিকোল, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে লড়াই করা গোর্খা রেজিমেন্টের কুলবীর থাপা প্রমুখকে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা