অনলাইন ডেস্ক
মঙ্গলবার ‘করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলা: কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সরকার টিকার জন্য একটি মাত্র উৎসের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এই সিদ্ধান্ত যে ঠিক হয়নি, সেটি এখন প্রমাণিত। টিকা সংগ্রহের জন্য তৃতীয় পক্ষকে নিযুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষকে লাভবান করা হয়েছে। আর তার বোঝা বইতে হচ্ছে জনগণকে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘সরকার দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের চেয়ে শত গুণ বেশি তৎপর তথ্য প্রকাশ নিয়ন্ত্রণে। করোনাকালে স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্নীতি গণমাধ্যমে বেশি করে প্রকাশ পাওয়া শুরু হয়। এ সময় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সচেষ্ট হতে দেখা গেছে। অনেক গণমাধ্যমকর্মীও নিগ্রহের শিকার হয়েছেন।’
টিআইবির আয়োজনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির রিসার্চ ফেলো মো. জুলকারনাইন। তিনি বলেন, টিকা কিনতে গিয়ে সরকারি ক্রয়বিধির ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে। এখানে তৃতীয় পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করে ২৩১ কোটি টাকা মুনাফা দেয়া হয়েছে। এই টাকা দিয়ে ৬৮ লাখ ডোজ টিকা কেনা যেত।
টিআইবির গবেষণাটি গুণগত ও পরিমাণগত দুই পদ্ধতিতে করা হয়েছে। গবেষণায় জরিপ অন্তর্ভুক্ত ছিল। জরিপে দেশের আট বিভাগের ৪৩ জেলার এক হাজার ৩৮৭ জন অংশ নেন।
টিআইবির গবেষণা বলছে, বিভিন্ন হাসপাতালের কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বরাদ্দ ব্যয়ে দুর্নীতি অব্যাহত। পাঁচটি হাসপাতালে ক্রয়, শ্রমিক নিয়োগ ও কোয়ারেন্টাইন বাবদ ৬২ কোটি তিন লাখ টাকা ব্যয়ের বিপরীতে পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। যার মধ্যে রয়েছে, ক্রয় বিধি লঙ্ঘন করে এক লাখ কিট ক্রয়; দর প্রস্তাব মূল্যায়ন, আনুষ্ঠানিক দর-কষাকষি, কার্য সম্পাদন চুক্তি, কার্যাদেশ দেয়ার ক্ষেত্রে বিধি লঙ্ঘন ও অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে ক্রয়াদেশ দেয়া।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা