অনলাইন ডেস্ক
এমন সময় হঠাৎ ছটফট করতে শুরু করেন মার্কেজ। চেয়ারে বসা অবস্থায় রক্তাক্ত হয়ে ওঠে তার মাথা; মুহূর্তেই ঢলে পড়লেন।
লাইভ চলতেই থাকে। কিছুক্ষণ পর আরেকজন ব্যক্তি এসে তার ফোনটি তুলে নেয়, তখন তার মুখ কিছুক্ষণের জন্য দেখা যায়। ততক্ষণে হয়তো না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন মার্কেজ।
চোখের সামনে এমন করুণ মৃত্যু দেখতে হবে, এমনটা বোধহয় কখনো কল্পনাও করতে পারেনি তার অনুসারীরা। এমন হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে মেক্সিকোর জাপোপান-এ। আর তা থেকেই তীব্র প্রতিক্রিয়ায় তোলপাড় হয়ে উঠেছে পুরো মেক্সিকো।
জানা গেছে, ২৩ বছর বয়সী ওই বিউটি ইনফ্লুয়েন্সার তার বিউটি সেলুন থেকে টিকটকে লাইভে এসে অনুসারীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। আর সে সময়ই এক অস্ত্রধারী যুবক সেলুনে ঢুকে মার্কেজকে গুলি করে হত্যা করে। দেশটির জালিস্কো রাজ্যের প্রশাসনের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে উঠে এসেছে এসব তথ্য। আর এ ঘটনাটিকে নারীঘটিত সহিংসতা—অর্থাৎ ‘ফেমিসাইড’—বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বলে রাখা ভালো, মেক্সিকোতে নারীদের আচমকা গুলি করে মারার মতো হত্যার ঘটনা অর্থাৎ এই ‘ফেমিসাইড’ একেবারেই নতুন নয়। দিন কয়েক আগেই ভেরাক্রুজ রাজ্যে মেয়র পদপ্রার্থী এক নারীকে লাইভস্ট্রিমের মধ্যেই গুলি করে হত্যা করা হয়। তার সঙ্গে আরও তিনজন নিহত হন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে মেক্সিকোতে নারীর ওপর সংঘটিত হত্যার এক-চতুর্থাংশ ঘটনাকেই ফেমিসাইড হিসেবে তদন্ত করা হয়। দেশের ৩২টি রাজ্যেই এমন মামলা নথিভুক্ত হয় হারহামেশাই।
তবে ফেমিসাইড হোক আর যাই হোক, এমন মার্কেজের এমন হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডে ভেঙে পড়েছে তার অনুসারীরা। ইনস্টাগ্রামে ১ লক্ষের বেশি অনুসারী তার; যারা হয়তো কল্পনা করেননি, এভাবে মৃত্যু লেখা থাকবে তাদের তারকার।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা