মালিকদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে মেহেরপুরের সব রুটে গত বৃহস্পতিবার থেকে লোকাল বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা। আজ মঙ্গলবার ষষ্ঠ দিনের মতো সকাল ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। এতে সীমাহীন দুর্ভোগ পড়েছে যাত্রীরা।
বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আলগামন, নসিমন, করিমন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এখন এ পথে চলাচলকারী যাত্রীদের একমাত্র ভরসা। এতে বাড়ছে ব্যয় ও জীবনের ঝুঁকি।
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বলছেন, আন্ত জেলার সব রুটে ৩৬ দিন বাস চলাচলের পর ৪৬ দিন বন্ধ থাকে। বন্ধের সময় কাজ না থাকায় বাস শ্রমিকদের মানবেতর জীবন কাটাতে হয়। এ জন্য বন্ধের সময়সীমা কমাতে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে প্রতিটি বাস দুইবার চলাচলের পরিবর্তে একবার চালানোর দাবি শ্রমিকদের। মালিকপক্ষ যত দিন এ দাবি না মানবে, তত দিন বাস চলাচল বন্ধ রাখবে শ্রমিকরা।
তাঁরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা মালিক সমিতির কাছে এ দাবি জানানো হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা আজ না কাল বলে সময় অতিবাহিত করছেন। এবার যদি দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন। প্রয়োজনে দূরপাল্লার বাস-ট্রাক সব বন্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন।
জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল বলেন, শ্রমিকদের এ দাবি আগেও মানা হয়েছিল। পরে তারাই তা পরিবর্তন করেছে। মালিকদের সঙ্গে না বসেই শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের এ অন্যায় দাবি আমরা মেনে নেব না। আমাদের লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে বাস রাস্তায় নামিয়েছে। যখন-তখন তাদের অন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আতাউল গনি বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কোনো পক্ষ থেকেই সাড়া মিলছে না।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন জানান, বাস মালিক সমিতির ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। উভয়পক্ষই তাঁদের নিজেদের দাবিতে অনড়। কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি হচ্ছে না।
NB:This post is copied from kalerkantho
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা