অনলাইন ডেস্ক
এসব জমি কেনার ক্ষেত্রে জোর জবরদস্তির অভিযোগও রয়েছে জিয়াউল হাসানের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি রাজধানীর নিউ মার্কেট থানায় করা একটি হত্যা মামলায় খিলক্ষেত থেকে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের বাসীন্দা এনটিএমসি’র সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান। এলাকায় তিনি তপু মিয়া নামে পরিচিত। সাবেক সরকারের আমলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন পদে থাকাকালীন তিনি নিজ এলাকায় বিপুল পরিমান সম্পদের মালিক হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতাপপুর গ্রামে তার তাসফিয়া মালটিপারপাস এগ্রো ফার্মে জমি রয়েছে ১৫ বিঘা। একই ইউনিয়নের বংকুরা ও কতুবকাঠি মৌজায় রয়েছে কমপক্ষে ২৮৫ বিঘা জমি। এসব জমির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা। এছাড়া তার এগ্রো ফার্মে ৬টি মাছের ঘের, গরুর খামার, নার্সারি ও বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে। গত ৫ই আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরে মূল গেটে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় এই ফার্মে দায়িত্বরতরা।
বৈশাখী টেলিভিশনের অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব সম্পদ বাদে জিয়াউল হাসানের পৈত্রিক বাড়িতে করা হয়েছে মাদ্রাসা ও সরকারি খরচে সাইক্লোন শেল্টার। এখানেও একটি বাংলো বাড়ি রয়েছে।
জিয়াউল হাসানের এগ্রো ফার্মের আশেপাশের বাসিন্দারা জানান, এই খামার করার সময় স্থানীয় জমির মালিকরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শেখেরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে জমি কিনতে গিয়ে মালিকদের জোরজবরদস্তি ও নির্যাতন করার অভিযোগও রয়েছে।
সরকারি চাকরির সুবাদে জিয়ার যে বৈধ আয় ছিলো তা দিয়ে এই বিপুল পরিমান সম্পত্তি অর্জন করা সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি স্থানীয়দের।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা