অনলাইন ডেস্ক
জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উলিপুর অফিসে দায়িত্বরত উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জুবাইদুল ইসলাম মারা গেছেন। বুধবার রাতে (৮ এপ্রিল) জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলে পথেই মারা যান। কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে চিকিৎসক জানান, তার শরীরে ডেঙ্গুর লক্ষণ ও হার্টে ছিদ্র ধরা পড়েছিল।
প্রকৌশলী শাহজাহান আলী জানান, সোমবার জুবাইদুল ইসলাম হালকা জ্বরে অসুস্থ হয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. মাঈনুদ্দিনের কাছে তার ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা নিতে যান। ওই চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, যে তার ডেঙ্গু পজেটিভ। এ ছাড়াও তার হার্টেও সমস্যা ধরা পড়ে। এরপর মঙ্গলবার তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বুধবার সকালে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা নেওয়া হয়। তাকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়।
বুধবার বিকালে পরিবারের সদস্যরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। ডা. মাঈনুদ্দিন জানান, তিন দিনের জ্বর নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা ওই প্রকৌশলীর শরীরে ডেঙ্গুর লক্ষণ পাওয়া যায়। রক্তের প্লাটিলেট ছিল ৯৮ হাজার। তা ছাড়া তার হার্টে ফুটো ছিল। তাই তাকে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রেদোয়ান ফেরদৌস সজিব জানান, মৃত্যুর খবরটি তিনি শুনেছেন। ওই চিকিৎসকের কাছে ব্যক্তিগতভাবে তিনি চিকিৎসাও নিয়েছেন বলে জেনেছেন। তবে হাসপাতালে চিকিৎসা না করায় ওই প্রকৌশলীর ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।
জুবাইদুল ইসলামের বাড়ি রাজশাহীতে। তিনি ৩ বছর ধরে কুড়িগ্রাম জেলায় কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলের কাছে ভাড়া বাসায় ছিলেন।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা