অনলাইন ডেস্ক
নীলফামারীর সৈয়দপুর ও পার্শ্ববর্তী রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার সড়কের পাশে ও বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ব্যক্তি পর্যায়ের এসব বাগান। আমচাষিদের ধারণা, এ বছর হাঁড়িভাঙা আমের ফলন কম হবে।
বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের ধাপপাড়ার আমচাষি নূরুন্নবী সরদার ও সাগর সরদার দুই ভাই। পৈত্রিক এক বিঘা জমিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক গাছ লাগিয়েছেন। গেল তিন বছর ধরে এ বাগান থেকে আম সংগ্রহ করছেন তারা।
আমচাষি নূরুন্নবী সরদার জানান, মৌসুমের শুরু থেকেই তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমের মুকুল ঝরে পড়েছে। যেটুকু আছে, সেগুলো খুব একটা বড় হতে পারেনি। অর্থাৎ হাঁড়িভাঙা আমের সাইজ কিছুটা হলেও ছোট হবে এবার।
‘ভাঙা হাঁড়িতে’ পত্তন হয়েছিল বলেই নাম হয়েছে ‘হাঁড়িভাঙা’। ‘ভাঙা হাঁড়ি’র মধ্যে জন্ম বলে এ জাতের আমের নাম হাঁড়িভাঙা বলে বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করে। হাঁড়িভাঙা আম জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত পাওয়া যায়। হাঁড়িভাঙা আম দেখতে সাধারণত কিছুটা লম্বাটে বা গোলাকৃতির এবং কালচে সবুজ রঙের হয়। পাকলে কিছুটা লালচে রঙ ধারণ করে। প্রতিটি আমের ওজন দুইশ’ থেকে চারশ’ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। পুষ্ট ও পাকা হাঁড়িভাঙার শাঁস থেকে টক-মিষ্টি ঘ্রাণ পাওয়া যায়। পাকা আম মাঝারি মাত্রার তীব্র সুগন্ধ ছড়ায়। গোলাকার আমটি বেশ মিষ্টি। নিচের দিকের তুলনায় বোঁটার দিকে কিছুটা মোটা। নিচের দিকে যেখানে ভাঁজ থাকে, সে স্থানটি অন্য আমের তুলনায় একটু উঁচু।
ঐতিহ্যবাহী হাঁড়িভাঙা আম চাষে বিগত তিন দশক ধরে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে এ জনপদের হাজার কৃষক পরিবারে। কিন্তু এ বছর করোনাকালে কী হবে, তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ আমচাষিদের কপালে। বেশ কিছু বাগান ঘুরে দেখা গেল, প্রতিটি বাগান এবং বাসা বাড়ির গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে আম।
উৎপাদক এবং ব্যবসায়ীরা জানান, জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে হাঁড়িভাঙা পুষ্ট এবং পাকতে শুরু হলেও বাইরে থেকে আসা পাইকারেরা আগেই বাগান কিনে নেন। এরই মধ্যে এসব এলাকায় ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকারদের আনাগোনা শুরু হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বদরগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, এবার হাঁড়িভাঙা আম গাছে তুলনামূলকভাবে খুবই কম মুকুল এসেছে। ফলে গাছেও কম আম ধরেছে। এছাড়া দীর্ঘদিন খড়ার কারণে মাটিতে রসের ঘাটতি হওয়ায় গাছ থেকে আম ঝরেছে।
বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মো. জোবাইদুর রহমান বলেন, শুধু খড়া নয়, মাটিতে খাদ্য ঘাটতি হলেও আম ঝরতে পারে। তবে চাষিদের বাগানে সেচ দেওয়াসহ অনুখাদ্য প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা