প্রায় চার ঘন্টার তৃতীয় ওই বৈঠকেও অপারেটর দুটির অডিট রিভিউ নিয়ে কোনো সমাধানে আসা যায়নি।
অর্থমন্ত্রীর পরিকল্পনা কমিশনের অফিসে বৃহস্পতিবার বিকাল হতে রাত পর্যন্ত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে আগের মতোই বৈঠকে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক এবং জিপি ও রবির প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে অনেক বিস্তারিত আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত কোনো কুল-কিনারাই হয়নি।
এর আগে অর্থমন্ত্রী ১৮ সেপ্টেম্বর হঠাৎ-ই বিষয়টির দায়িত্ব নেন এবং দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এর সুরাহা করার কথা জানান।
ইতোমধ্যে দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। ১৮ সেপ্টেম্বরের বৈঠকের ওপরেও আরও একাধিক বৈঠক হল। কিন্তু কোনো সমাধান না হওয়ায় অপারেটররা অস্থির হয়ে উঠেছেন।
তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে করানো অডিটে বিটিআরসি গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে। একই সঙ্গে রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা দাবি করছে তারা। তবে অপারেটররা এই অডিটের ফলাফল মানছে না।
অপারেটররা বলছেন, অডিটের মধ্যে প্রচুর ভুল-ভ্রান্তি রয়ে গেছে। একই সঙ্গে এসব বিষয়ে বিটিআরসি আবার তাদের বক্তব্য আমলেই নিচ্ছে না।
দেশের বড় দুই মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রামীণফোন ও রবির টুজি ও থ্রিজি লাইসেন্স কেন বাতিল কর হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস ইস্যু করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন।
নোটিসের জবাব দেওয়ার জন্যে ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
৪ অক্টোবর ৩০ দিনের সময় শেষ হয়েছে। কিন্তু এ দিন ছুটির দিন হওয়ায় রোববার অর্থাৎ ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সময় পাবে অপারেটররা।
এদিকে সম্প্রতি এক কমিশন বৈঠকে গ্রামীনফোন-রবিকে এনওসি দেওয়া বন্ধ রাখা বিষয়ে একটি এজেন্ডে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিষয়টিতে কোনো আলোচনাই হয়নি। গত ২৪ জুলাই থেকে অপারেটর দুটিকে যেকোনো ধরনের নো অবজেকশান সার্টিফিকেট বা এনওসি দেওয়া বন্ধ রেখেছে বিটিআরসি।
মোবাইল ফোন অপারেটর দুটির কর্মকর্তারা বলছেন, এনওসি না পাওয়ায় প্রতিদিনই নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণ তাদের বড় সমস্যা হচ্ছে। তারা প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার কিনতে পারছেন না। ফলে নেটওয়ার্ক আপগ্রেডেশন ব্যাহত হচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত এর ফল ভোগ করছে গ্রাহক। যার প্রভাব পড়ছে তাদের ১২ কোটি গ্রাহকের ওপরেই।
এর আগে ৪ জুলাই পাওনা আদায়ে গ্রামীণফোনের মোট ব্যবহার করা ব্যান্ডউইথের ৩০ শতাংশ এবং রবির ব্যবহৃত ব্যান্ডউইথের ১৫ শতাংশের ওপর ক্যাপিং আরোপ করে কমিশন। তবে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার সীমিত করায় সেটি গ্রাহকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে – বিবেচনায় আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে এনওসি বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা