অনলাইন ডেস্ক
অনতিবিলম্বে হেফাজত-জামায়তকে নিষিদ্ধ করাসহ মসজিদে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এবং রোজা অবস্থায় টিকা জায়েজ, ইফার এ ফতোয়া অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ ও সমমনা ১৩ দল।
শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওলামা লীগ আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে ওলামা লীগের নেতারা বলেন, হেফাজত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করতে গিয়ে সহিংসতা করে। তারা পুলিশের উপর আঘাত করেছে, জাতীয় সম্পদ নষ্ট করেছে। তাদের সঙ্গে ছিল জামায়াত। তাই এ দল দুইটিকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এসময় বক্তারা বলেন, সরকারের উচিত হেফাজতি-জামাতিদের বিরুদ্ধে শাস্তি ব্যবস্থা করা এবং অবিলম্বে তাদের নিষিদ্ধ করা। পাশাপাশি সাধারণ মুসলমানদেরও উচিত তাদের বয়কট করা। এছাড়া ভারতে ইসলামের উপর আঘাত, মুসলমানদের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত ও কুরআন শরিফের উপর আঘাত ইত্যাদি সব কিছুর বিরুদ্ধে ভারত সরকারকে নিবৃত্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে জোরালো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, ইসলামে ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই। ছোঁয়াচে রোগ বলে বিশ্বাস করা কাট্টা কুফরি ও শিররির অন্তর্ভুক্ত। আর টিকা ইনজেকশন নিয়ে ওষধ ভেতরে প্রবেশ করে যা রোজা ভঙ্গের মূল কারণ। নামাযের মধ্যে মুখমন্ডল খোলা রাখার নির্দেশ রয়েছে। নামাযের মধ্যে চেহারা ঢেকে রাখলে নামায মাকরুহ হয়। এজন্য শরীয়তবিরোধী কাজ মাস্ক পরার নির্দেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
মানববন্ধনে জামায়ত-হেফাজতকে নিষিদ্ধের পাশাপাশি ভারতে পবিত্র কুরআন শরীফের আয়াতের বিরুদ্ধে রিট করার প্রতিবাদে সরকারের পক্ষ থেকে তীব্র ও জোরালো ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।
এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা মো. আখতার হোসাইন বোখারী মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মুফতী মাওলানা মো. আব্দুর সাত্তার, আওয়ামী ওলামা লীগের সহসভাপতি হাফেজ মাওলানা চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, সহ দপ্তর সম্পাদক মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সবুর মিয়াসহ সমমনা দলগুলোর কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরোও পড়তে পারেন : যুদ্ধবিরতির জন্য ‘নমনীয়’ হয়েছে ইসরায়েল