জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বেলা ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন। বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সারা দেশে সংগঠনটির ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা থেকে ৮ হাজার কাউন্সিলর ও সমসংখ্যক ডেলিগেটস যোগ দিয়েছেন।
১৯৬৯ সালের ১২ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা পায় জাতীয় শ্রমিক লীগ। সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয়। তখন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান নারায়ণগঞ্জের শ্রমিক নেতা শুকুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক হন জনতা ব্যাংক ট্রেড ইউনিয়নের নেতা সিরাজুল ইসলাম। দুই বছর মেয়াদি ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ৪ বছর আগে।
শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে প্রতিষ্ঠিত হলেও এক্ষেত্রে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেনি- এমন অভিযোগ আছে শ্রমিক লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে। তদবির বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনৈতিক পন্থায় নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। সরকারের শুদ্ধি অভিযানের কারণে সংগঠনের পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতরা তটস্থ রয়েছেন। ফলে বড় ধাক্কা ও নানা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে এবার কেন্দ্রীয় সম্মেলন হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা- এবার সংগঠনের নেতৃত্বে পরিবর্তন ও রদবদলের মাধ্যমে তুলনামূলক স্বচ্ছ, কর্মীবান্ধব নেতাদের ঠাঁই হবে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা