অনলাইন ডেস্ক
ওই চিকিৎসক জানান, যে কোনো মুহূর্তে আবারও খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা লাগতে পারে। এখন তার যত ধরনের টেস্ট করা হচ্ছে, তার রিপোর্টও খারাপ আসছে। প্যারামিটারগুলো ক্রমেই নিচের দিকে যাচ্ছে।
ওই চিকিৎসক আরও জানান, অবস্থার অবনতি হওয়ায় এক্স-রে, ইসিজি, ইকোসহ রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট দেখে ওষুধে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক দুর্বলতা বেড়েছে। ইলেকট্রোরাইল ইমব্যালেন্স (দেহে খনিজ অসমতা) হওয়ায় শরীরে দুর্বলতা রয়েছে। এগুলোর উন্নতির চেষ্টা চলছে। স্যুপ ও তরল জাতীয় খাবার ছাড়া তিনি তেমন কিছু খেতে পারছেন না। হাসপাতালের বিছানায় সারাক্ষণ থাকতে হচ্ছে ইনজেকশন ও স্যালাইনের ওপর।
চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক দুর্বলতার পাশাপাশি লিভার সিরোসিসের অবস্থাও গুরুতর। এ ছাড়া তার কিডনি জটিলতা ও ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়ছে। ফলে একটিকে কমাতে গেলে আরেকটিতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সহনশীল ওষুধ দিয়ে এসব জটিলতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। এখন লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া দেশে আর কোনো চিকিৎসা নেই। উনার যেহেতু শারীরিক নানা জটিলতা, তাই উন্নত মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া জরুরি।
হাসপাতালে খালেদা জিয়ার শয্যাপাশে রয়েছেন ছোট পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথি। তিনি গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে শাশুড়ির জন্য খাবার রান্না করে নিয়ে যান। গত ৯ আগস্ট ‘ফিরোজা’য় অসুস্থ হয়ে পড়লে ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা