অনলাইন ডেস্ক
আবেদনে বলা হয়, আবরার হত্যা মামলার ২২ নম্বর সাক্ষী মো. গালিব, ২৭ নম্বর সাক্ষী ওয়াহিদুর রহমান ও ২৮ নম্বর সাক্ষী মো. সাইফুল ইসলাম সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দি ও জেরাকে পরিবর্তন করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বিচারকের এই রায়ে তার ছেলে বুয়েট শিক্ষার্থী মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম পিংকুকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে, যা অত্র বিচারকের দেওয়া রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এছাড়াও তার ছেলে পিংকুর প্রতি অবিচার ও অন্যায় করা হয়েছে।
আবেদনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অমর্ত্য ইসলামের বাবা রবিউল ইসলাম আরও দাবি করেন, রায়ের পর প্রকাশিত জাবেদা নকলের সাথে সাক্ষী চলাকালে প্রদত্ত জাবেদা নকলের বক্তব্যের মিল নেই। এই তিনজন সাক্ষী কোনোভাবে জবানবন্দিতে বা জেরার সময় নিজেদের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে দাবি করেননি। অথচ রায়ের পরবর্তীতে পূর্বের তোলা জাবেদা নকলের সহিত পরবর্তীতে উত্তোলন করা জাবেদা নকল মিলিয়ে দেখা যায়, উল্লেখিত তিনজন সাক্ষীকে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী করা হয়েছে।
আবরার হত্যাকণ্ডে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ এজাহারের ১৬ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করে। একই বছরের ১৩ নভেম্বর আদালতে ২৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ।
এরপর ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ৮ ডিসেম্বর মামলার রায় দেওয়া হয়। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা