অনলাইন ডেস্ক
নিহত জিন্নাত আলী (৫৫) ধর্মগড় চেকপোস্ট মুজাহিদাবাদ কলোনি এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে। ওই গ্রামের তুলাচাষি মো. মিয়াজান বলেন, জিন্নাত আলী ঢাকায় একটি বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রাণীশংকৈল থানার ওসি গুলফামুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে বিকেলে তার দাফন সম্পন্ন হয়। তবে এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (১০ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে জিন্নাত নিহত হন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজির আহমেদ। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি গবাদি পশুর জন্য ঘাস সংগ্রহ করতে সেখানে গিয়েছিলেন। তখন তাকে লক্ষ্য করে বিএসএফ গুলি ছোড়ে। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
তানজির আহমেদ বলেন, দুপুরে জিন্নাত আলী জগদল সীমান্তে শূন্যরেখা অতিক্রম করে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে ৩৭৪ নম্বর পিলারের দিকে যান। এ সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ১৫২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মুকেশ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। এ সময় জিন্নাত আলীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপরই বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এবং বিএসএফ কর্মকর্তাদের কাছে ফোন কলের মাধ্যমে নিরীহ বাংলাদেশির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা