অনলাইন ডেস্ক
বাজেটের হিসাব বহির্ভূত ৬৯ লাখ টাকার অবকাঠামোগত কাজ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছেন আইনজীবীদের একাংশ। আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি আবুল হোসেন (২) বলেন, ছয় দিন আগে সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গত বছরের ৩০ মে ১৪১ জন আইনজীবীর দেওয়া একটি অভিযোগপত্র নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।
অভিযোগপত্রের বিষয় ছিলো- আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন তোজামের নেতৃত্বাধীন কমিটি বাজেট বহির্ভূতভাবে ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পানির ফোয়ারা, লিফট নির্মাণসহ পাঁচটি অতিরিক্ত কাজ করেন।
তিনি বলেন, বাজেট বহির্ভূত কাজ গঠনতন্ত্রবিরোধী। তাই তাদের দুই অভিযোগে তিন বছর করে মোট ছয় বছর নির্বাচনি কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ছয় বছর তারা বারের কোনো ভোট করতে পারবেন না। সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান উল্লাহ সবুজ বলেন, আগের কমিটির সদস্যদের নির্বাচনি কার্যক্রম নিষিদ্ধের পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়। এসএম হায়দারকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, শফিকুল ইসলাম, শম্ভুনাথ সিংহ, খায়রুল বদিউজ্জামান ও শাহনাজ পারভীন মিলিকে সদস্য করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত ঘোষিত হওয়ার পর আদালত চত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আইনজীবীদের একটি অংশ। আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনের সামনে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন তারা। আইনজীবী আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- শাহ আলম, তোজাম্মেল হোসেন তোজাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সমিতির সিদ্ধান্ত একপেশে। বাজেট বহির্ভূত খরচের কথা বলে সাবেক সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন তোজামসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হটকারী সিদ্ধান্ত।
এ বিষয়ে শাহ আলম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক। কাজের অনিয়মের বিষয়ে তারা প্রমাণ দিতে পারছেন না। বাজেটের মধ্যে পাঁচটি কাজের তালিকা নেই বলে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। আসল বিষয় হলো- উন্নয়নের পাঁচটি কাজ বাজেটের মধ্যেই ছিলো।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা