চীন-সিঙ্গাপুর ফেরত যাত্রী মানেই সন্দেহজনক কোভিড-১৯ রোগী নয়। সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রেরিত সর্বশেষ খবরে আমরা জানতে পেরেছি যে, মোট ৫ জন বাংলাদেশের নাগরিক কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে ১ জন আইসিইউ-তে আছেন।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর পরিচালক প্রফেসর ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। রবিবার ( ১৬ ফেব্রুয়ারি) আইইডিসিআর এর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, কোয়ারান্টাইনে আছেন ৫ জন বাংলাদেশের নাগরিক। সিঙ্গাপুরে সর্বমোট ৭২ জন কোভিড-১৯ রোগী চিকিৎসাধীন। পরীক্ষায় কোভিড-১৯সংক্রমণ পাওয়া যায় নি ৮১২ জনের, পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায় আছেন ১০৭ জন রোগী, এবং সুস্থ হয়ে বাড়ী ফেরত গেছেন ১৮ জন। বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের দূতাবাস থেকেও আমাদেরকে সিঙ্গাপুর পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত অবহিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে প্রতিদিন অনেক যাত্রী বাংলাদেশে আসছেন। চীনের সকল প্রদেশে কোভিড-১৯মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটে নি। চীনের যে সব অঞ্চলে মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে, চীন সরকার সে সব অঞ্চলে গণ কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা জারী করেছে ও সকল প্রকার যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে মহামারী উপদ্রুত এলাকা থেকে কারো বাংলাদেশে আসার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, অনুরূপভাবে গোটা সিঙ্গাপুর শহর মহামারী আক্রান্ত নয়। যে সব প্রতিষ্ঠানে ও বাসাবাড়ীতে কোভিড-১৯ নিশ্চিত রোগী সনাক্ত হয়েছে সে সব অঞ্চল ও প্রতিষ্ঠানকে সিঙ্গাপুর সরকার শহরের অন্যান্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রোগীদেরকে আইসেলশন ও তাদের সংস্পর্শে আসা সবাইকে কোয়ারেন্টিন করেছে। ফলে সিঙ্গাপুরের কোভিড-১৯ উপদ্রুত অঞ্চল থেকে কোন যাত্রীর বাংলাদেশে আসার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, সতর্কতার অংশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশে আগত চীন ও সিঙ্গাপুর ফেরত যাত্রীদের মধ্যে যারা জ্বর-হাঁচি-কাশিতে ভুগছেন তাদেরকে আইসোলেশন করে চিকিৎসার ব্যবস্থা ও নমুনা পরীক্ষা করছি। বাকীদেরকে যার যার বাসাতে স্বেচ্ছা-কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের ভেতরে সম্ভাব্য কোভিড-১৯ রোগী সনাক্ত করার জন্য জনসাধারণের সক্রিয় সহযোগীতা খুবই জরুরী। কিন্তু চীন ও সিঙ্গাপুর ফেরত যাত্রীরা যদি আমাদের আচরণের কারণে ব্যক্তিগত ও সামাজিক নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, তাহলে তাঁরা জ্বর-হাঁিচ-কাশিতে ভুগলেও সরকারী স্বাস্থ্য সেবা নিতে নিরুৎসাহিত বোধ করবেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে কুন্ঠা বোধ করবেন। এর ফলে কোভিড-১৯ সনাক্তকরণ, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা জনসাধারণকে ধৈর্য ও শান্তভাবে জনস্বাস্থ্য কার্যক্রমকে সহযোগীতা করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি ও যে কোন জিজ্ঞাস্য আইইডিসিআর অথবা নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় অথবা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় হতে জেনে নেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা