চীন থেকে বুধবার (২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ফিরেছে ৩৩৪৮ জন। এদের প্রত্যেককে বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। কারো মধ্যেই করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে (আইইডিসিআর) ।
আইইডিসিআর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ যাবত চীনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নতুন একটি করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকার এর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) রাতে মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর সভাপতিত্বে নোভেল করোনা ভাইরাস কন্ট্রোল রুমে দিক নির্দেশনা মূলক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন; পরিচালক, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডিরেক্টর, সিডিসি এবং পরিচালক, আইইডিসিআর এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর এর অন্যান্য কর্মকর্তা।
সকল সিভিল সার্জনদের ২০১৯- নোভেল করোনা সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি অবহিত করে ২০১৯-নভেল করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছেএবং সকল স্বাস্থ্য কর্মীদেরকে অবহিত করার অনুরোধ করা হয়েছে।
দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং সিভিল সার্জনদের বরাবর নিজ নিজ জেলায় গত ১৪ দিনে চীন থেকে আগত সকল নাগরিকদের তালিকা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস্ অব বাংলাদেশ (অঞঅই) বরাবর চীন এ ভ্রমণ সংক্রান্ত করণীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চের্ম্বাস অব কর্মাস এন্ড ইন্ডান্ট্রি বরাবর চীনে এ সময় ব্যবসায়ীক ভ্রমণ সংক্রান্ত করণীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আইইডিসিআর এর হটলাইনে এ ভাইরাস সম্পর্কে জানতে মোট কল এসেছে ৫৩টি। বুধবার এসেছে ৯টি কল। হটলাইন সেন্টার থেকে সেবা গ্রহণ করেছে ৮ জন। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা