তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। সমপ্রতি ২২০ কোটি ডলার সমমূল্যের একটি সম্ভাব্য অস্ত্রের চালান তাইওয়ানের কাছে বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, চুক্তিটির অংশ হিসেবে ১০৮টি আব্রামস ট্যাংক, ২৫০টি স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম বিক্রি করা হতে পারে তাইওয়ানের কাছে। গত মাসে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রি স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছিল। বলেছিল, এটি খুবই সপর্শকাতর ও ক্ষতিকর একটি সিদ্ধান্ত হবে।
প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও নিজেদের বিচ্যুত অংশ হিসেবে বিবেচনা করে চীন। চীনা কর্তৃপক্ষের দাবি, ভবিষ্যতে ফের এক হয়ে যাবে দেশ দুটি। প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করতেও থামবে না তারা।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ান ইস্যুতে ‘ওয়ান চায়না’ নীতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই নীতি অনুসারে, তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পাশাপাশি তাইওয়ানের সঙ্গে কোনো সমপর্ক না রেখে কেবল চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ডিফেন্স সিকিউরিটি করপোরেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ) জানিয়েছে, তাইওয়ানে সমপ্রতি অনুমোদিত অস্ত্র বিক্রি করলে অঞ্চলটিতে সামরিক সক্ষমতার ভারসাম্যে কোনো পরিবর্তন আসবে না। সম্ভাব্য অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে কংগ্রেসকে অবহিত করেছে ডিএসসিএ। উল্লেখ্য, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রি করতে পারবে না মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে, অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন নিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ‘আন্তরিক কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেছে। তাইওয়ানে অস্ত্রের প্রধান সরবরাহকারী হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বার্ত সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক বক্তব্যে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমপর্ক আরো গভীর করার চেষ্টা জারি রাখবে তারা।
NB:This post is copied from mzamin
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা