তাসকিনা ইয়াসমিন : দেশে করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত ৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৫ জন। এই অবস্থায় মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক হাসপাতালেই দেখা যাচ্ছে চিকিৎসকেরা নিরাপত্তা পোশাক পাননি। এই অবস্থায় চিকিৎসকের সুরক্ষা না দিলে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আটকানো যাবে না বলছেন সিনিয়র সাংবাদিক, গবেষক আফসান চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের দিকে যে তাকানো হয়নি সেটা সামগ্রিকভাবেই যে সীমাবদ্ধতাটা আমরা দেখছি পরিকল্পনা প্রস্তুতি তার অংশ। এইটা শুধু যে চিকিৎসকদের ব্যবস্থা করা হয়নি তা না। এখানে টেস্টিং কিট ছিল ২ হাজারের নিচে। এটাতেও বোঝা যায় সেখানে প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল। চিকিৎসকদের যে বিশেষ প্রয়োজন আছে সেটা খেয়াল করা হয়নি। এটা ভাবা হয়নি যে চিকিৎসকদের, নার্সদের প্রয়োজন হয়। একারণেই মিটফোর্ডের প্রধান বলেছেন, মাস্ক কিনে দেয়ার পয়সা নেই। এটা একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। এই টাকা পাবলিকে দিয়ে দিতে পারে। এটা এত অদ্ভূত একটা কথা। তার কথাতেই বোঝা যাচ্ছে আমরা চিকিৎসকদের গুরুত্ব দিচ্ছি না। এই সময় চিকিৎসকদের যদি গুরুত্ব না দিই তাহলে আমরা কাকে গুরুত্ব দিব।
তিনি বলেন, আমরা ভাবছি হাসপাতালে গেলে প্রাণে বেঁচে যাব। জানে তো বাঁচাবে আমাকে ডাক্তার। তাদের সুরক্ষার পরিকল্পনাগুলাে হয়নি। কারণ সামগ্রিকভাবে আমার পরিকল্পনায় সমস্যা আছে। এটা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবেনা্ কিন্তু একইসাথে বলি আমাদের দেশের অবস্থা যথেষ্ট খারাপ কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলো দেখে বোঝা যায় তাদের অবস্থাও খারাপ। তার মানে প্রস্তুতি পরিকরিকল্পনার বিষয়টা খুবই খারাপ ছিল। টেস্টিংয়ের বিষয়টা যদি বলা হয়, গতকাল বিলাতে টেস্টিং করার কথা ছিল তাদের হিসাবমতে ৫০ হাজার মানুষের। কিন্তু তারা টেস্ট করেছে ৫৫০০ জন মানুষের। এটা দেখে বোঝা যাচ্ছে করোনার জন্য যে ধরণের প্রস্তুতি এবং কার্যক্রম দরকার ছিল সেটা এখন পর্যন্ত হয়নি। অতএব এই সমস্যাটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু যদি চিকিৎসককে সামাল না দেয়া যায়, ডাক্তারের নিরাপত্তা না দিলে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আটকানো যাবে না।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা