চা শ্রমিকদের ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ৪০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে চা শ্রমিক ফেডারেশন। সংগঠনটি এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুল ইসলাম’র কাছে হস্তান্তর করেছে।
স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের সদস্য সচিব দীপাঙ্কর ঘোষের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, করিমপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি গণেশ বড় কুর্মী, করিমপুর চা বাগানের মুন্সিবাজার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বেলাল হোসেন, রাজনগর চা বাগানের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বিপ্লব মাদ্রাজী পার্সি, চানপুর চা বাগানের শ্রমিক নেতা খায়রুন বেগম ও সন্ধ্যা ভৌমিক, মৌলভি চা বাগানের সিলাষ গাড্ডী ও সজীব বড় কুর্মী প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, চা শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের জন্য সরকার প্রায় ২ মাস পূর্বে মজুরি বোর্ড গঠন করেছে। চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক উক্ত মজুরি বোর্ডের একজন সদস্য হিসাবে মনোনিত হয়েছেন। কিন্তু চা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে চা শ্রমিকদের কাছে উক্ত মজুরি বোর্ড সম্পর্কে কোন সংবাদ জানানো হয়নি এবং শ্রমিক পক্ষের মজুরি প্রস্তাবনা বিষয়ে শ্রমিকদের মতামত গ্রহণ করা হয়নি। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, চা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন যাবত মজুরি বোর্ড গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৪১ ধারায় বর্ণীত মানদন্ড সমুহ এবং জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন ২০১৫ এর ঘোষণার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে মজুরি নির্ধারণের দাবি জানানো হয়েছে। এই দাবিতে গত ২০ মে মৌলবীবাজারের মাননীয় জেলাপ্রশাসকের মাধ্যমে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। শ্রমিকদের দাবির মুখে গঠিত এই মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নির্ধারণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন এই প্রত্যাশা থেকে দৈনিক নগদ মজুরি ৪০০ টাকা নির্ধারণের পক্ষে যুক্তিসমুহ মজুরি বোর্ডের সামনে তুলে ধরার এই প্রচেষ্টা।
মজুরি বোর্ডের কাছে চা শ্রমিকদের দাবি হল- (১) দ্রব্য মূল্য, পে স্কেল, জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন বিবেচনা করে চা শ্রমিকদের দৈনিক নগদ মজুরি ৪০০ টাকা দিতে হবে। রেশন হিসাবে প্রত্যেক শ্রমিককে সপ্তাহে ৫ কেজি এবং নির্ভরশীলদের জন প্রতি সপ্তাহে ৩ কেজি চাল এবং প্রতি শ্রমিককে মাসে ২ কেজি চা পাতা দিতে হবে। নিরিখের অতিরিক্ত প্রতি কেজি কাঁচা পাতা উৎপাদনের জন্য এবং ছুটির দিনে কাজের জন্য দ্বিগুণ হারে মজুরি দিতে হবে। (২) চাষাবাদের জন্য প্রদত্ত জমির জন্য সরকার নির্ধারিত ভূমিকরের অতিরিক্ত রেশন কাটা যাবে না। স্বাস্থ্য সম্মত বাসস্থান (ন্যূনতম ৮*২২ বর্গফুটের ঘর), স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ খাবার পানির সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। (৩) দেশের সকল চা বাগানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পর্যাপ্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মাণ কর । চা শ্রমিক সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষাভাতার ব্যবস্থা কর। প্রতি বাগানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা উপকরণ, ডাক্তার ও ঔষধদের সরবারহ নিশ্চিত করতে হবে। বাগানের বাইরে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে চিকিৎসা ব্যায় মালিকদের বহন করতে হবে।
লালসবুজের কথা’র ফেসবুক পেজ :
আরও পড়ুন : রাজাকার যখন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে তখন খুব খারাপ লাগে : আব্দুস সামাদ তালুকদার
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা