অনলাইন ডেস্ক
ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের আগে পদ্মা নদী ছিল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। রাজশাহী থেকে নৌপথে পণ্য পারাপার হতো দুই দেশের মধ্যে। তবে ফারাক্কা বাঁধ নির্মানের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। নগরীতে এখনও জাহাজঘাট ও আলুপট্টি নামে দুটি ঘাট থাকলেও নেই বন্দরের সেই ব্য¯ততা আর জাহাজের আনাগোনা।
রাজশাহীর সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, আবারও পদ্মা নদী দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য পারাপার শুরু হতে যাচ্ছে। রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মায়া এলাকা পর্যন্ত চালু হতে যাচ্ছে নৌরুট। দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। সুলতানগঞ্জ নৌ-বন্দর দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে ভারত থেকে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল, পাথর, মার্বেল, খনিজ বালু ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী বাংলাদেশে আসবে। আর বাংলাদেশ থেকে বস্ত্র, মাছ, পাট ও পাটজাত পণ্য ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য ভারতে যাবে।
বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, সুলতানগঞ্জ বন্দরটি চালুর পর ভারতের সাথে ফেরি চলাচল শুরু করার পরিকল্পনাও আছে।
রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন ও রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু জানান, রাজশাহী-ধুলিয়ান হিসেবে পরিচিত এই নৌরুটটি চালু হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে অনেকের। ১২ই ফেব্রুয়ারি রাজশাহী-ধুলিয়ান নৌপথের উদ্বোধন করতে প্রস্তুতি নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা