হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-২ এর একপাশে বাংলাদেশ কালচার অ্যান্ড বুকস নামে যে দোকানটি রয়েছে ওর কর্ণধার তিনি। ৫০ বর্গফুটের দোকানটিতে ঢুকলেই চোখে পড়ে অসংখ্য বই। যার সবই দেশবরেণ্য লেখকদের।
তিনি প্রবল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া সাহসী একজন মানুষ। বলা যায় মনের জোরেই উদ্যোক্তা হয়েছেন। তিনি ভায়লেট লিনা। সেই গল্প জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যে দোকানটি করেছি এটাকে বইয়ের দোকানই বলা যায়। এর পাশাপাশি জামদানি, হ্যান্ডিক্রাফট সামগ্রীও রয়েছে। চারজন কর্মী এই দোকানটি দেখাশোনা করে। বিমানের যাত্রীরা সময় পেলে তাঁর দোকানে বই দেখতে আসেন। ইতিহাস, ঐতিহ্যের অসংখ্য বই আছে তাঁর দোকানের শেলফে।
২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে এই দোকান শুরু করেন ভায়লেট লিনা। অভিজ্ঞতা বলতে গেলে সাত বছর একটা বইয়ের দোকানে কাজ করা। সৌভাগ্যক্রমে ওটাও বিমানবন্দরেই ছিল বলে জানালেন এই উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ওই বইয়ের দোকানে কাজ করেছি। হঠাৎ দোকানটা বন্ধ হয়ে গেলে আমি বেকার হয়ে পড়ি। তখনো বিমানবন্দরে বইয়ের দোকান ছিল মাত্র একটি। বিমানবন্দরে দোকান পাওয়া বেশ কঠিন। কিভাবে এই কঠিন কাজটি করলেন জানতে চাইলে ভায়লেট লিনা বলেন, আমি সব নিয়ম মেনে দোকান পাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আবেদনের দুই বছর পর জানানো হলো আমাকে দোকান দেওয়া হবে না। কারণ হিসেবে বললেন, আমি নাকি পারব না। এমন কথা শোনার পর সাধারণ যে কেউ দমে যাবে, হতাশ হয়ে পড়বে। হাল না ছেড়ে ফের চেষ্টা শুরু করি। সবশেষে আমাকে দোকানের জায়গা দেওয়া হয় তবে টার্মিনালের পেছনের দিকে। শুরু হলো আরেক সংগ্রাম। কারণ বই এমনিতেই কম চলে। এ জন্য টার্মিনালের সামনের দিকে দোকান হলে বিমানযাত্রীদের চোখে পড়বে। বিক্রি-বাট্টা ভালো হবে। চেষ্টা করছি টার্মিনালের সামনের দিকে দোকান নেওয়ার।
NB:This post is collected from kalerkantho
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা