অনলাইন ডেস্ক
রবিবার (১৬ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের স্বাক্ষরে এই বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।
মুর্শেদুল হাসানের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০১৮ সালে করা বিভাগীয় মামলায় তদন্ত শেষে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এদিকে ১১ই আগস্ট মুর্শেদুল হাসান সোহেলের গ্রেপ্তারের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘হাইকোর্টের বেঞ্চ অফিসারের আড়ালে মাদক কারবার করে আসছিলেন মোরশেদুল। নিজের কেনা ফ্ল্যাটে বসেই তিনি বিক্রি করতেন ইয়াবা। যে ফ্ল্যাটে আনাগোনা ছিল বেশ কিছু নারীর। মাদক বিক্রি ও নারীদের আনাগোনার কারণে অন্য ৩৪টি ফ্ল্যাটের মালিকরা ছিলেন অস্বস্তিতে। প্রতিকার চেয়ে থানায় জিডিও করেছেন তারা। সর্বশেষ গত ৬ আগস্ট এক নারীসহ মোরশেদুলকে রাজধানীর মিরপুরের পীরেরবাগের ঝিলপারের তার নিজস্ব ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার দুটি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করে পুলিশ।’’
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘মোরশেদুল আগে একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সেবার মাত্র একদিন কারাগারে থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।’
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোহেল প্রায়ই বিনা ছুটিতে অফিসে অনুপস্থিত থাকতেন। এ ঘটনায় এর আগে কয়েকবার তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের একাধিক অভিযোগ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কাছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ইয়াবা বিক্রির টাকায় মুর্শেদুল হাসান দুটি বিলাসবহুল গাড়ির মালিক। এর মধ্যে গত কোরবানির ঈদের আগে ৯৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি গাড়ি কিনেছেন, যেটির ওপর এখনো নম্বর প্লেট পড়েনি।
পুলিশের ধারণা, তার কাছে বিপুল টাকা থাকতে পারে। সোহেলের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌরসভার সাহেবগঞ্জ এলাকায়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা