চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবঞ্জ জেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চললেও এখনও লকডাউন ঘোষনা করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই উষ্মা প্রকাশ করেছেন। জেলায় চলাচলকারি অটো রিকশাগুলোকে ৭ এপ্রিল রাস্তায় চলাচল করতে দেয়া হয়নি। চালকদের বুঝিয়ে পুলিশ বাড়ি ফেরত পাঠিয়েছে। এদিকে মূল শহরে মানুষজন কম চলাচল করতে দেখা গেছে। কিন্তু একটু গ্রামের দিকেই মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা মিনার আহমেদ জানান, প্রশাসনের লোক এসে যদি একবার সবাইকে মোড়ে মোড়ে জানিয়ে যায় আপনারা কেউ বাসা থেকে বের হবেন না। নির্ধারিতভাবে যদি বলে যায় এই সময় থেকে (নির্ধারিতভাবে সময় বেঁধে দেয়া) ওই সময় দোকান খুলবেন তাহলে অনেক লোক সচেতন হতো। এখনো বাজার গুলাতে লোক সমাগম কমেনি। গ্রামে এখনো চায়ের স্টল খুলে রাখা হচ্ছে। অনেক দোকানী বলছে যে, আমরা খাবো কি? এলাকার বেশিরভাগ গ্রামেই দেখা যায়, চায়ের দোকান খোলা রয়েছে। মানুষ সেখানে আড্ডা দিচ্ছে। অনেক মানুষ ছুটি থাকায় বাড়ি ঠিক করার জন্য রাজমিস্ত্রির কাজ করাচ্ছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান পিপিএম বলেন, আমরা মাইকিং করছি। লিফলেট বিতরণ করছি। আমরা জনগণকে বারবার আহ্বান করছি আপনারা ঘরে থাকুন। আপনাদের খাদ্য বা জরুরি কোন প্রয়োজন হলে আমাদেরকে জানান আমরা প্রয়োজনীয় সেবা আপনাদের ঘরে পোঁছে দেব। যেমন গতরাত্রে ৩৩৩ এর মাধ্যমে অনেকে আবেদন করেছেন। আবার আমাদের জেলা পুলিশের ফেসবুকের ইনবক্সে অনেকে আবেদন করেছেন তাদের খাদ্য সামগ্রী লাগবে। আমরা তাদের ঠিকানা অনুযায়ী তাদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়ে আসছি। এতে করে মানুষ আস্তে আস্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রথম অবস্থায় যেটা ছিল, আস্তে আস্তে এখন বুঝতে চেষ্টা করছে। মানুষ ঘরে থাকার চেষ্টা করছে। এখন জেলার পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নত। এখন ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ যদি রাজমিস্ত্রির কাজ করে প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশের পক্ষে পাহারা দেয়া সম্ভব না। আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নিচ্ছি। আমরা তাদেরকে বারবার বলছি আপনারা ঘরে থাকুন। ঘরে থাকুন। এখন কেউ যদি তার ঘরে বসে ঘরের কাজ করতে পারে আমরা সেটাতে আতঙ্কিত হচ্ছিনা। করোনা ভাইরাসের বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে এটি প্রতিরোধই উত্তম উল্লেখ করে জেলার বাসিন্দা ডা. তাসনিনা ইয়াসমিন নিনা বলেন, যেহেতু করোনা ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এটার প্রতিরােধই একমাত্র উপায়। তাই জেলার বাসিন্দাদের অবশ্যই নিজেদের সচেতন হতে হবে। নিজে ঘরে থাকতে হবে, পরিবারের সকল সদস্যকে ঘরের মধ্যে রাখতে হবে। যতদিন পর্যন্ত সরকার না বলছে বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসমুক্ত ততদিন আমাদের এই সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা