অনলাইন ডেস্ক
তিনি বলেন, আমাদের প্রথম সিদ্ধান্ত আমরা টাকা ওয়ান ওয়ে গ্রাহকদের কাছে ফেরত দেবো। আটকে থাকা টাকা আমরা এই মুহূর্তে অপারেটদের ফেরত দিচ্ছি না বলেও জানান তিনি।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসএসএল কমার্স পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে আলেশা মার্টের গ্রাহকের আটকে থাকা টাকা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। আলেশা মার্টের ১০ গ্রাহককে আজ ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৬ টাকা হস্তান্তর করা হয়।
অন্য অপারেটরগুলোয় আটকে থাকা টাকার কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা আজ যে টেকনিক্যাল কমিটির মিটিং করেছি সেখানে অন্ততপক্ষে ৭-৮টি অপারেটরকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। ফলে এসএসএল শুধু নয়, আরও গেটওয়ে পেমেন্ট সিস্টেমে যে টাকা জমা আছে সেগুলো আমরা আশা করছি এই মাসে (ফেব্রুয়ারি) ফেরত দিতে পারবো। আরও কিছু ই-কমার্সের টাকা আমরা এভাবে ফেরত দিতে পারবো। সিআইডি আমাদের আজ বিষয়টি আশস্ত করেছে।
তিনি বলেন, অন্ততপক্ষে আমরা একটা বেইজলাইন ঠিক করেছি। যেটা হলো গ্রাহকদের টাকা শুধু গ্রাহকদের কাছে ফেরত যাবে। কোনো পেমেন্ট গেটওয়েতে যদি অপারেটরের টাকা আটকে থাকে বা তারা পণ্য ডেলিভারি দিয়েছে অথচ টাকা আটকে আছে, সে টাকা অপারেটর পাবে। তবে সে বিষয়ে আমরা পরে সিদ্ধান্ত নেবো। আমাদের প্রথম সিদ্ধান্ত এটা যে, প্রথমে আমরা গ্রাহকদের টাকা ওয়ান ওয়ে গ্রাহকদের কাছে ফেরত দেবো। আটকে থাকা টাকা আমরা এই মুহূর্তে অপারেটদের ফেরত দিচ্ছি না।
ইভ্যালি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ই-ভ্যালির বিষয়ে হাইকোর্ট একটা পরিচালনা পর্ষদ করেছেন। সেই পর্ষদ কাজ করছে। এ বিষয়ে আসলে কিছু করার নেই। তবে হাইকোর্ট যদি আমাদের নির্দেশ দেন তাহলে আমরা কার্যক্রম নেবো। এজন্য হাইকোর্ট থেকে আগে নির্দেশনা আসতে হবে।
তিনি বলেন, ওভার অল আমরা ই-কমার্স নিয়ে যে রিফর্মগুলো করছি, ডিবিআইডি পলিসি সেক্ষেত্রে অন্য ই-কমার্সের যে অবস্থা- সেখানে ইভ্যালিও একই মর্যাদা পাবে। তারা যদি ডিবিআইডি বা অন্য কোনো পলিসি রিফর্মের সুযোগ পায়- সেটা তারা পাবে। এটা স্বাভাবিক বিষয়।
এর আগে এএইচএম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ডিজিটাল কমার্স সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড তথা ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য সংঘটন, লেনদেনে সৃষ্ট ভোক্তা বা বিক্রেতা অসন্তোষ, প্রযুক্তিগত সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসএসএল কমার্স ও আলেশা মার্ট যৌথভাবে যে তালিকা করেছে, সেখানে মোট গ্রাহক ৪৮৫ জন, মোট ট্রানজেকশন এক হাজার ১৪৩টি। লেনদেন করা মোট অর্থের পরিমাণ ১০ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার ১৩৬ টাকা। এর মধ্যে আজ ১০ জনকে ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৬ টাকা হস্তান্তর করা হলো।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা