অনলাইন ডেস্ক
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বা এর আশেপাশে সরাসরি আঘাত না হানলেও কক্সবাজার বা চট্রগ্রাম আঘাত হানলে এর প্রভাবে ঝড় ও টানা বৃষ্টির আশঙ্কা ছিল। এতে গাছ থেকে আম ঝরে ও টানা বৃষ্টিতে ছত্রাকের আক্রমণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের মনে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ঝড় বা বাতাস কিছুই হয়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এতে রক্ষা পেয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার আম।
শিবগঞ্জের নয়ালাভাঙ্গার আমচাষি জিয়াউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার তীব্রতার কথা এক সপ্তাহ থেকে গণমাধ্যমে দেখার পর মনের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। কারণ এর আগে কয়েক বছরে কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ঝড় ও বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলার আমচাষিরা। তবে, আলহামদুলিল্লাহ, শেষমেশ রক্ষা হয়েছে কোনো ঝড় বা বৃষ্টি হয়নি।
সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের নশিপুর গ্রামের আম ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে ১৭ বিঘা আমের বাগান রয়েছে। গাছে ঝুলছে বিভিন্ন জাতের আম। ইতোমধ্যে গোলাপভোগ আম পাড়া শুরু করেছি। কয়েকদিনের মধ্যেই ক্ষিরসাপাতসহ বেশ কয়েকটি জাতের আম পাড়া শুরু হবে। এর মধ্যে ঝড় হলে বিশাল ক্ষতি হয়ে যেতো আমাদের।
শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিডেটের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এর আগে ফনিসহ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় হলে টানা বৃষ্টি হয়, এতে আমে ছত্রাকের আক্রমণসহ নানারকম ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। আলহামদুলিল্লাহ, এবার ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব পড়েনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মাসুদ আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার বিষয়টি আমরা ১৫ দিন আগে জানলেও কোথায় আঘাত হানবে তা নিশ্চিত ছিল না। তাই কৃষকদের আগেই সর্তক করা হয়েছিল। যাদের আম পরিপক্ব হয়েছে, তা পেড়ে নেওয়ার বিষয়টি বলা হয়েছিল। কারণ ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়লে আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতো। তবে এর কোনো প্রভাব পড়েনি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলতি বছর ৩৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এ বছর আমের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষা হয়। গত মৌসুমে জেলায় আম উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। ২০২১ সালে জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আড়াই লাখ মেট্রিক টন এবং তার আগের বছর ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা