রাজশাহীকে বলা হয় শিক্ষার নগরী। বলা হয়, শান্তির নগরী। বলা হয়ে থাকে, ভীষণ রকম পরিবেশবান্ধব একটি শহর। শিক্ষার নগরী বলা হয় কেননা এইখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ এবং ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী কলেজ রয়েছে। পদ্মার তীরে অবস্থিত এই বিভাগীয় শহরে ঘুরতে যেতে পারেন ভ্রমণ পিপাসুরা।
পুঠিয়া শিবমন্দির। খুবই পরিচিত একটি এলাকা। রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায় অবস্থিত স্থাপনাটি শহর থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরে অবস্থিত। রাজশাহী শহর থেকে বাস ও অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়। প্রায়ই বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা এই মন্দিরটি দেখতে আসেন। রয়েছে হাওয়াখানা। ঢাকা রাজশাহী মহাসড়কে তারাপুর মোড় হতে দক্ষিণ দিকে ১ কিলোমিটার হেঁটে অথবা রিক্সা ভ্যানে করে যাওয়া যায়। পুঠিয়া রাজবাড়ী জেলা সদর হতে ৩২ কিঃমিঃ উত্তর- পূর্বে নাটোর মহাসড়কের দিকে অবস্থিত। বাসে করে দেশের যে কোন স্থান হতে পুঠিয়া আসা যায় এবং ট্রেনে করে নাটোর অথবা শহরে নেমেও সড়কপথে সহজে আসা যায়।
দেশের সবচেয়ে প্রাচীণ জাদুঘরটি এখানে অবস্থিত। বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর। জিরোপয়েন্ট থেকে আনুমানিক ৮০০ মিটার পশ্চিমদিকে প্রধান সরকের উত্তরে অবস্থিত রিক্সাতে, অটোতে যাওয়া যায়। এখানে রাখা আছে শতাব্দী প্রাচীন সব প্রত্নতত্ত্ব সামগ্রী। ইতিহাসের শিক্ষার্থীসহ ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য জ্ঞানগর্ভ জাদুঘর এটি।
শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা শহরের মধ্যেই অবস্থিত। জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিমদিকে আনুমানিক ৩ কি.মি. কোর্ট এর দিকে, প্রধান রাস্তার উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত। রিক্সা, অটোতে যাওয়া যায়।
আরও পড়ুন : এবার শীতে ঘুরে আসুন চাঁপাইনবাবগঞ্জ
এই শহরে কেউ বেড়াতে গেছে কিন্তু পদ্মার পাড় যায়নি এমনটি ভাবা যায়না। জিরোপয়েন্ট থেকে পশ্চিমদিকে আনুমানিক ৩ কি.মি. কোর্ট এর দিকে, প্রধান রাস্তার উত্তর পার্শ্বে পদ্মার নদীর এই পাড়। নদী পেরুলেই চর জমে উঠে যেন মিনি সৈকতের মর্যাদা দিয়েছে। রিক্সা, অটোতে যাওয়া যায়। আরো আছে – শাহ্ মখদুমের মাজার ।জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিমদিকে আনুমানিক ১ কি.মি. রিক্সা, অটোতে যাওয়া যায়। বইপ্রেমীরা একটু ঘুরে দেখতে পারেন সাধারণ গ্রন্থাগার। জিরো পয়েন্ট থেকে রিক্সা বা অটোতে যাওয়া যায়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রাজশাহী কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। জিরো পয়েন্ট থেকে রিক্সা বা অটোতে যাওয়া যায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জিরো পয়েন্ট থেকে রিক্সা বা অটোতে যাওয়া যায়। ২২শ একর জমির উপর নির্মিত এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখতে চাইলে অবশ্যই সময় নিয়ে যেতে হবে। বাঘা মসজিদ- শিরইল বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসযোগে এই মসজিদে যেতে পারেন ভ্রমণ পিপাসুরা।
কিভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে যেতে চাইলে – বাসযোগে _ রাজধানীর গাবতলী, শ্যামলী, কল্যানপুর থেকে প্রতিদিন প্রতি এক ঘন্টা পরপর এসি এবং নন এসি বাস ছেড়ে যায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে। নিজের পছন্দ মতো টিকেট কেটে নিতে হবে। সাধারণত ঈদের সময়, পূজার সময় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক পরীক্ষার সময় ছাড়া এই রুটের বাসের টিকেট সহজেই মেলে। ভাড়া ৫০০ টাকা থেকে শুরু।
ট্রেন _ কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সরাসরি ট্রেন রাজশাহী যায়। বনলতা এক্সপ্রেস- তাই যারা বিরতিহীন ট্রেনে যেতে চান তাদের এই ট্রেনের টিকিট নেয়া ভাল। প্লেন _ ঢাকা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত প্লেনে যাবার সুযোগ আছে। সপ্তাহে দুদিন এই রুটে প্লেন চলাচল করে।
ফেসবুক পেজ :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা