আম বাগানের ছায়ায় ঘেরা জেলা নওগাঁ। আমের রাজধানী কে থাকবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নাকি নওগাঁ এ নিয়ে প্রায়ই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এই শান্তিময় শহরটি ঘুরে আসতে পারেন আপনার পছন্দমতো কোন ছুটির মুহুর্তে।
সবুজ ঘেরা মাঠ, আমবাগান আর পাখির কলকাকলি এই জেলায় ঘুরতে গেলে দেয় অন্যরকম আনন্দ।
এই জেলায় গেলে যেসব দর্শনীয় স্থান দেখার সুযোগ মিলবে সেগুলোর মধ্যে আছে – কুসুম্বা মসজিদ। মান্দা থানায় অবস্থিত এই মসজিদে যেতে রাজশাহী মহাসড়কে বাসযোগে ৪০ মিনিট সময় লাগবে। এরপর ঘুরে দেখতে পারবেন বদলগাছীতে অবস্থিত পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার। শহর থেকে এর আনুমানিক দুরত্ব ৩২ কিলােমিটার। নওগাঁ সদরেই রয়েছে বলিহার রাজবাড়ী। রাজবাড়ী। আছে পতিসর কাচারীবাড়ী।
শহর থেকে একটু দুরে জবাইবিল। ভ্রমণ পিপাসু মানুষ মাটি আর পানি এদুটোর কাছে না গেলে যেন মন ভরে না। তাই, যেতে মাত্র আড়াই ঘন্টা সময় লাগবে। এরপরও ইচ্ছে করলেই জেলার অন্যতম দর্শনীয় এই স্থানটি এক ট্যুরেই ঘুরে আসা যায়।
জেলার ধামইরহাট এলাকায় আছে জগদ্দল বিহার। এটির দূরত্ব জেলা সদর হতে দূরত্ব ৫৪ কিঃ মিঃ। সড়কপথে যেকোন যানবাহনে যাওয়া যায়।ধামইরহাটেই মিলবে ভীমের পান্টি, মাহি সন্তোষ, আলতাদিঘী। ঘুরে ঘুরে দেখতে হবে এই দর্শনীয় স্থানগুলো। পত্নীতলায় আছে দিব্যক জয় স্তম্ভ। রাজশাহী রোডে মান্দা ব্রিজ থেকে হাজী গোবিন্দপুর মোড় থেকে সোজা পশ্চিম দিকে ঠাকুর মান্দা বিল পার হয়ে কাঁচা রাস্তার সাথে পাবেন ঠাকুর মান্দা মন্দির। দেখার মতো আরো আছে সাপাহারে অবস্থিত পূর্নভবা নদীর হাপানিয়া খেয়াঘাট। এখানে মিলবে আপনার নদী দর্শনের সুযোগ।
এই জেলায় গেলে যেমন খেতে পারবেন বিভিন্ন ধরণের ফল। তেমনি ফেরার পথে সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন পছন্দের মিষ্টি।
ঢাকা থেকে যেতে চাইলে – বাসযোগে _ রাজধানীর গাবতলী, শ্যামলী, কল্যানপুর থেকে প্রতিদিন প্রতি এক ঘন্টা পরপর এসি এবং নন এসি বাস ছেড়ে যায়। নিজের পছন্দ মতো টিকেট কেটে নিতে হবে। ট্রেন _ কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সরাসরি ট্রেন রাজশাহী পৌঁছে নওগাঁ যাওয়া যায়্ত প্লেন _ ঢাকা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত প্লেনে যাবার সুযোগ আছে। এরপর সেখান থেকে বাস যোগে যেতে পারবেন নওগাঁ।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা