অনলাইন ডেস্ক
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ জুন) মিয়ামি রাজ্যের মার্শালে একজন ম্যাজিস্ট্রেট বিচারকের সামনে উপস্থিত হন ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে গোপন নথি রাখার ৩৭টি অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এগুলো অস্বীকার করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
১০ মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা ও তদন্ত সংস্থা এফবিআই ফ্লোরিডায় অবস্থিত ট্রাম্পের বাড়ি থেকে এসব নথি উদ্ধার করে। কিছু কিছু নথি তার বাড়ির বলরুম ও বাথরুমেও পড়ে ছিল।
আদালতে হাজিরা দিয়ে ব্যক্তিগত বিমানে করে নিউজার্সির বেডমিনস্টারে নিজের গলফ ক্লাবে চলে যান ট্রাম্প। এ সময় বাইডেনকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে গালাগাল করে তিনি দাবি করেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে যেন তিনি অংশ নিতে না পারেন সেজন্য বাইডেন এসব করছেন।
এ ব্যাপারে ট্রাম্প বলেছেন, ‘খুব খারাপভাবে হারতে যাওয়া একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাঝখানে, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত প্রেসিডেন্ট তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে ভুয়া ও বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তার করিয়েছেন— যে মামলায় তিনি ও অন্যান্য প্রেসিডেন্টরাও দোষী হতেন।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আজ আমরা আমাদের দেশের ইতিহাসে ক্ষমতার অপব্যবহারের সবচেয়ে জঘন্য এবং হীন চিত্র প্রত্যক্ষ করলাম।’
এদিকে একটি জরিপে ওঠে এসেছে ট্রাম্পের রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টির ৮২ শতাংশ সমর্থক মনে করেন তার বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি যেন আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারেন সেজন্য এগুলো করা হচ্ছে।
গত বছর ট্রাম্পের বাড়ি থেকে যেসব নথি উদ্ধার করা হয় সেগুলোর মধ্যে সিআইএ, এনএসএ, মার্কিন সামরিক বাহিনী ও পারমাণবিক সক্ষমতার গোপন তথ্য ছিল বলে দাবি করেছেন সরকারি কৌঁসুলিরা।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তকারীরা ৪৯ পাতার একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। যার মধ্যে তার বাড়ি থেকে পাওয়া নথির ছবিও রয়েছে। কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্ট এ অভিযোগপত্রকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
ট্রাম্প আরও বলেছেন, এ মামলার রায় বা ফলাফল যাই হোক না কেন আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেনই।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা