ট্রেন আসার সংকেত পাওয়ার পর ও রেলক্রসিংয়ের গেট খুলে না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গেটম্যানকে মারধরের ঘটনার ব্যাখ্যা দেন কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিসেস কাউছার আজিজ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে কাউসার আজিজ দাবি করেন, গত শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে একটি ট্রেন আউটার সিগন্যালে দাঁড়ানো অবস্থায় কুলিয়ারচর রেল স্টেশনের দক্ষিণ পাশের ক্রসিংয়ের গেট বন্ধ করে দেয় গেটম্যান। ১টা ১৫ মিনিট বাজার পরও যখন গেট খুলছিল না তখন জুমার নামাজে অংশগ্রহণের জন্য রাস্তায় লোকজন ব্যস্ত হয়ে পড়েন এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
১টা থেকে ১টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তির কবলে পড়ে অসংখ্য মানুষ। এ সময় আমিও সেখানে গাড়িতে বসা ছিলাম। তখন গেটম্যানকে ডাকাডাকি করলেও গেটম্যানকে পাওয়া যায়নি। গার্ড রুমে তখন কম বয়সী একটি ছেলে দাঁড়ানো ছিল।
ইউএনও বলেন, ট্রেন আসতে বিলম্ব হচ্ছে দেখে সাধারণ মানুষের সমস্যা উপলব্ধি করে আমি আমার অফিস সহায়ক হিমেল মিয়াকে গেটম্যানের সঙ্গে কথা বলার জন্য পাঠাই। তার ডাকে পার্শ্ববর্তী বাসা থেকে গেটম্যান সিফরাত হোসেন বের হয়ে আসে। তখন আমার অফিস সহায়ক হিমেল মিয়া গেটম্যানকে গাড়ির কাছে ডেকে নিয়ে আসে।
আমি গাড়িতে বসা অবস্থায় গ্লাস খুলে গেটম্যানকে ট্রেন আসতে বিলম্ব হচ্ছে কেন- সে বিষয়ে জানতে চাইলে গেটম্যান সিফরাত হোসেন আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। এতে আমি আমার অফিস সহায়ককে উক্ত ব্যক্তির নাম ঠিকানা নেয়ার জন্য বলি। তারপর ট্রেন চলে যাওয়ায় গাড়ি নিয়ে তাৎক্ষণিক কর্মস্থলে চলে আসি।
ইউএনও আরও দাবি করেন, আমি গাড়ি থেকে নামিও নাই এবং তার সঙ্গে কোনো মারধরের ঘটনাও ঘটে নাই। কিন্তু বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রচারিত উক্ত সংবাদের বিষয়ে এবং ভৈরব জিআরপি থানার জিডি নং ৩৭২, তারিখ- ১১/১১/২০১৯ মূলে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ দেখতে পাই। আমি দাখিলকৃত মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা