গুটিকয়েক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের হাতে দেশের ব্যাংকিং খাত জিম্মি হয়ে গেছে বলে শনিবার অভিযোগ করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘প্রস্তাবিত ব্যাংকিং কমিশন: সিপিডির প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘আমরা অসহায় আতঙ্ক নিয়ে একটি ভয়ংকর ভঙ্গুর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে আছি। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে যে সব সুবিবেচিত নীতিমালা দেয়া হয়েছে, সেগুলোর প্রকাশ্য বরখেলাপ ঘটছে।’
দেশের ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা আনতে সরকার ব্যাংকিং কমিশন গঠনের যে উদ্যোগ নিচ্ছে সে সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত এ ব্যাংকিং কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজের ক্ষমতা ও সুযোগ প্রদান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সদিচ্ছা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
প্রস্তাবিত কমিশন সাময়িক হবে বলে প্রত্যাশা করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘আগামী বাজেটকে সামনে রেখে আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে এ ব্যাংকিং কমিশনের একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন প্রদান করা উচিৎ। কমিশনের স্বাধীনভাবে কাজের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাত সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত ও কার্যকর সম্পৃক্ততা প্রয়োজন হবে।’
সিপিডির আরেক সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সরকারের এ ব্যাংকিং কমিশন গঠনের উদ্যোগকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। অন্যান্য দেশের উত্তম চর্চা থেকে এ কমিশন যেন সমস্যা চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি সমাধানের দিকেও অগ্রসর হতে পারে আমরা সেটি প্রত্যাশা করছি।’
অর্থপাচার, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাদি নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত ব্যাংকিং খাতকে সুশৃঙ্খল করতে হলে একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং কমিশন গঠন করে টেকসই সমাধান নিশ্চিতকরণে সরকারকে মনোযোগী হতে হবে বলে মত দেন তিনি।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা