অনলাইন ডেস্ক
এছাড়া এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন মানুষ। রোববার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে সেতু ভেঙে শতাধিক মানুষ নদীতে পড়ে যান বলে দেশটির একাধিক গণমাধ্যম খবর দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, মোরবি জেলার মাচ্ছু নদীতে প্রায় শত বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক এক ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়েছে। মেরামতের পর চারদিন আগে উদ্বোধন করা হয় সেতুটি। ভেঙে পড়ার সময় পাঁচ শতাধিক মানুষ সেতুতে ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
সেতু ভেঙে পড়ার পর দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে স্থানীয়রাও অংশ নিয়েছেন। তিন দিনের সফরে গুজরাটে অবস্থানরত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই দুর্ঘটনার পরপরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।
এনডিটিভি বলছে, সেতুটি মাঝখানে ভেঙে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাজ্য সরকারও নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে চার লাখ এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার রুপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
প্রায় শত বছর আগে নির্মিত মোরবির ঝুলন্ত এই সেতু দেশটির ঐতিহাসিক স্থাপনার তালিকায়ও রয়েছে। গুজরাটের স্থানীয় নববর্ষ উপলক্ষে মেরামতের পর গত চারদিন আগে (২৬ অক্টোবর) সেতুটি পুনরায় লোকজনের পারাপারের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
মোরবি পৌরসভার কর্মকর্তারা বলেছেন, যথাযথ ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই সেতুটি পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় একটি বেসরকারি ট্রাস্ট সেতুটির মেরামত ও সংস্কার কাজ করেছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের কাছে ফিটনেস সার্টিফিকেট জমা না দিয়েই ওই ট্রাস্ট সেতুটি খুলে দিয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা