অনলাইন ডেস্ক
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার বলেন, ‘গাজীপুরের দুই হাজার ৭২টি কারখানার মধ্যে আজ পর্যন্ত ৬৩৮টি কারখানা খোলা হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের শরীফপুর এলাকার টেক্স টেক কোম্পানি লিমিটেড নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সকালে কাজে যোগ দিতে কারখানার গেইটে আসে। এ সময় কাজে যোগ দেওয়ার জন্য সব শ্রমিককে কারখানায় প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও ৬০ জন শ্রমিকের কার্ড জমা নিয়ে তাদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘক্ষণ গেইটে অপেক্ষার পরও তারা ভিতরে প্রবেশ করতে না পারায় তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।’
এ কারখানায় প্রায় ৯০০ শ্রমিক কাজ করেন জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই ৬০ শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে- এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এ সময় ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে। বিকেল পর্যন্ত গেইটে অবস্থান করে তাঁরা কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া পায়নি। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপর অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে মহাসড়কের উভয়পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।’
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক ইস্কান্দর হাবিব বলেন, ‘শ্রমিক অসন্তোষের খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন এবং শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি কারখানার মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাঁটাই প্রক্রিয়া প্রত্যাহার করে ওই ৬০ শ্রমিককে কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানান।
পরে কারখানার মালিকপক্ষ আগামীকাল বৃহস্পতিবার হতে ওই ৬০ শ্রমিককে কাজে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলনরত শ্রমিকরা প্রায় আধা ঘণ্টা পর বিকেল ৩টার দিকে মহাসড়কের অবরোধ তুলে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পরিদর্শক আরো বলেন, এ ছাড়া মহানগরীর টঙ্গীর আয়েশা গালিয়া পোশাক কারখানার শ্রমিকরা একই দিন বিক্ষোভ করেছে। ওই কারখানার কয়েক শ্রমিককে ছাঁটাই করা হবে এমন সংবাদ পেয়ে তারা সকাল হতে কারখানার গেইটে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা অবরোধের জন্য পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে। শ্রমিক অসন্তোষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার বলেন, ‘গাজীপুরে দুই হাজার ৭২টি কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে বুধবার পর্যন্ত বিজিএমইএর ৩৫১টি, বিকেএমইএর ৪১টি, বিটিএমইএর ৩৬টি এবং অন্যান্য ২১০টি কারখানাসহ মোট ৬৩৮টি কারখানা খোলা হয়েছে। এদিন পর্যন্ত জেলার এক হাজার ৮৩৪টি কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনভাতা এর মধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২৩৮টি কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনাদি নানা অজুহাতে এ পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়নি। তবে জেলায় এ পর্যন্ত কোনো শ্রমিকের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়নি।’
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা