অনলাইন ডেস্ক
গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালসহ সাত উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৪৫ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন বয়স ৩-১০ বছর বয়সের ১৪ জন, ১১-১৭ বছর বয়সের ১৫৫ জন এবং ১৯ বছরের উর্ধ্বে ৭৬ জন। সব থেকে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১১-১৮ বছরের শিশু ও কিশোরী।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) এর গাইবান্ধার প্রোগ্রাম অফিসার রুহুল আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের প্রেমের সম্পর্কের জেরেই বেশির ভাগ ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এছাড়া প্রতিশোধ, ক্ষোভের বশবর্তী অথবা কাউকে ফাঁসাতেও অনেক সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতদের দ্রুত চিকিৎসা, আইনি সেবাসহ সব ধরনের সহযোগিতা পেতে দফতরগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে থাকে ওসিসি।
জেলা নারীমুক্তি কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক নীলুফার ইয়াসমিন শিল্পী বলেন, অপরাধীদের সঠিক বিচার ও কঠিন শাস্তি না হওয়ার কারণেই সামজিক অপরাধ বাড়ছে। অপরাধ করার পরও অপরাধীদের যখন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় না তখন অন্যরাও অপরাধ করার সাহস পায়। ফলে দিন দিন ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, শুধু আইন করে সমাজ থেকে ধর্ষণ নির্মূল কিংবা কমিয়ে আনা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ। একদিকে আইনের যথাযথ প্রয়োগ থাকতে হবে অন্যদিকে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তবেই ধর্ষণের ঘটনা রোধ করা সম্ভব।
জেলা পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ নির্মূল কিংবা কমিয়ে আনতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। পুলিশের পক্ষ থেকে নানাভাবে সচেতনতা বিষয়ক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ধর্ষণ নির্মূলে পুলিশের পাশাপাশি সচেতন মহল, অবিভাবক ও শিক্ষকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা