অনলাইন ডেস্ক
ব্যবসায়ীরা জানান, এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, জিরা, ধনে, তেজপাতাসহ সব মসলার দাম কমেছে। প্রতি বছর ক্রেতাদের চাহিদা বেশি থাকায় সুযোগ বুঝে মসলার দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন, গরম মসলার বাজার এখনো ক্রেতাশূন্য।
মসলার পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন অনেক কমে গেছে। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে গত দুই সপ্তাহ এ ধরনের অনুষ্ঠান প্রায় বন্ধই ছিল। কমিউনিটি সেন্টার, হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ। এসব কারণে বছরজুড়ে মসলার বিক্রি কম হয়েছে। বাজারে মসলার মজুত পর্যাপ্ত। তাই দাম বাড়েনি।’
মসলা বিক্রেতা আজিমুল ইসলাম ২৫ বছরের ব্যবসাজীবনে কোরবানি ঈদের আগে এমন দুঃসময় আর কখনো পার করেননি। তিনি বলছিলেন, ‘বাজারে মানুষ নাই, পুরাই ক্রেতাশূন্য, গরম মসলার বাজার এখনো পুরাই ঠাণ্ডা।’
এই বাজারের নিচতলার খুচরা দোকান ছাড়াও দ্বিতীয় তলার পাইকারি দোকানগুলোতে ঈদের সময় খুচরা বিক্রি হয়। সেখানে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি দোকানে মসলা পণ্য বিক্রি হয়। এ দোকানগুলোতে বেচাকেনা বাড়লেও এবার মসলা কেনার জন্য ভিড় কিংবা ঠেলাঠেলি নেই।
কাওরান বাজারে পাইকারিতে মানভেদে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি জিরা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, এলাচ ২২০০ থেকে ৩৬০০ টাকা, দারুচিনি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, লবঙ্গ এক হাজার থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, জায়ফল ৭৫০ টাকা, গোলমরিচ সাদা ৮০০ টাকা, গোলমরিচ কালো ৪৪০ টাকা, কিসমিস ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, আলুর বোখারা ৫০০ টাকা, চিনা বাদাম ১০০ টাকা, আখরোট প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, কাঠবাদাম ৬৫০ টাকা, কাজুবাদাম ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, পেস্তা বাদাম ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা, শাহি জিরা ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, মিষ্টি জিরা ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে ভোজ্যতেলের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। তবে বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের লিটারে দুই টাকা বেড়ে প্রতি লিটার ১১৬ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য তেলের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা