তাসকিনা ইয়াসমিন : গত ৪৮ ঘন্টায় সারাদেশে কোন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। তবে, এপ্রিল মাস থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় এই মাসটি ডেঙ্গুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মাস বলছেন ডেঙ্গু সংশ্লিষ্টরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেল্থ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানিয়েছেন, এবছর সারাদেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ২৭১ জন। এদের মধ্যে কারো মৃত্যু হয়নি।
ন্যাশনাল ম্যালেরিয়া ইলিমিনেশন এন্ড এডিস ট্রান্সমিটেড ডিজিজ, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফসানা আলমগীর খান বলেন, মুজিব বর্ষে এপ্রিল মাসকে ডেঙ্গু মাস হিসেবে চিন্থিত করা হয়েছেন। কেননা, এপ্রিল মে মাসে বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় ডেঙ্গুর সময় শুরু হয়ে যায়।
তিনি বলেন, মার্চ আমরা একটি জরিপ করেছি। এতে এতে ৭২টি এডিস পজিটিভ স্থান পেয়েছি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পােরেশন ৩১ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পােরেশনে ১৫. ১৬, ১৮ ৪১, ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। শুধুমাত্র সিটি কর্পােরেশনে উপর নির্ভর না করে যদি সচেতন হই তাহলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারব।
উল্লেখ্য, ডা. আয়শা আক্তার জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে মোট ১৭৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। এসময় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। ২০১৯ সালে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ( আইইডিসিআর) এর ২৭৬ টি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত সন্দেহে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে ১৭৯ টি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর।
ডেঙ্গু, চিকণগুনিয়া এবং ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ সেলের পরিচালক ডা. শাহেলা ফেরদৌসী বলেন, নিজ বাসা, বাড়ির ছাদ, ফুলের বাগান এগুলো ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিচ্ছন্ন রাখি তাহলে আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারব। পাশাপাশি তিনি রাতে সবাইকে মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর আহ্বান জানান।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা