করোনা টেস্ট উদ্ভাবক
কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) আক্রান্ত রোগীকে শনাক্তে দ্রুত ও কম খরচের টেস্ট পদ্ধতির উদ্ভাবক বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীলকে গণভবনে সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২২ মার্চ) রাতে ড. বিজন কুমার শীল নিজেই গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ করা হয়নি। গণভবন থেকে তাকে জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরই সাক্ষাতের সময় সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের কাছে লিখিত কোনো আমন্ত্রণ আসেনি। করোনা পরীক্ষার কিট আবিষ্কারে সম্মিলিতভাবে একটি টিম কাজ করেছে। এটা কারও ব্যক্তিগত বা একক আবিষ্কার নয়। সাক্ষাতের জন্য কোনো ব্যক্তি নয়, বরং পুরো টিমকে আমন্ত্রণ জানানোটাই যুক্তিযুক্ত।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস শনাক্ত করার জন্য সম্প্রতি ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে গণস্বাস্থ্য সংস্থার একটি টিম দ্রুততম ও কম খরচে টেস্ট কিট আবিষ্কার করে বিশ্বজুড়ে আলোচনা তৈরি করে। এই পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য রিএজেন্ট আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বিশ্বব্যাপী যখন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রোগ শনাক্তে কিট সংকটে ভুগছে তখন বাংলাদেশি এই বিজ্ঞানী মানুষের পাশে দাঁড়ালেন। তিনি ঘোষণা দিলেন, তার উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে মাত্র ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে কি না।
এতে খরচ পড়বে ৩০০-৩৫০ টাকার মতো। সরকার যদি এর ওপর ট্যাক্স-ভ্যাট আরোপ না করে তাহলে ২০০-২৫০ টাকায় বাজারজাত করা যাবে। তার গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
ড. বিজনের নেতৃত্বে এই গবেষণা টিমে রয়েছেন ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ। ২০০৩ সালে যখন সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল তখন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুর গবেষণাগারে কয়েকজন সহকারীকে নিয়ে সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
এটা একটা ভিন্ন পদ্ধতি। এর নাম হলো : ‘র্যাপিড ডট ব্লট’। এই পদ্ধতিটি ড. বিজন কুমার শীলের নামে পেটেন্ট করা। পরে এটি চীন সরকার কিনে নেয় এবং সফলভাবে সার্স মোকাবিলা করে। তারপর তিনি সিঙ্গাপুরেই গবেষণা করছিলেন ডেঙ্গুর ওপরে। গবেষণা চলাকালে তিনি দুই বছর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন।
তিনি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী। সাভারে ক্যাম্পাসেই থাকেন। তিনি গত দুই মাসে করোনার গবেষণা পারফেক্ট করেন। এই পদ্ধতিতে ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে।
তিনি বলেন, প্রচলিত কিট যেটা ব্যবহৃত হচ্ছে সেটা খুবই ব্যয়বহুল। এজন্য একটা দামি যন্ত্র প্রয়োজন হয়। সেই যন্ত্র সব মেডিকেল কলেজে নেই। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৩টা আছে। সারা দেশে এই যন্ত্র খুব বেশি নেই। আইইডিসিআরের কাছে একটা যন্ত্র আছে।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা