গণপরিবহনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক

জনগণের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে গণপরিবহনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা। আজ বুধবার বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িম্ক্তু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।

আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)’র চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, বিআরটি কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহউদ্দিন, স্থপতি ইকবাল হাবিব, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান ড. আকতার মাহমুদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)’র নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান ড. মুসলেহ উদ্দিন হাসান, বুয়েটের দূর্ঘটনা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. হাদীউজ্জামান, ইউএনডিপি’র টাউন ম্যানেজার মারুফ হোসেন, ডাব্লিউবিবি টাস্ট্রের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রমূখ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার গণপরিবহন ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে মেট্রোরেল, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজের আওতায় এবং উন্নত আধুনিক বাস সার্ভিসের মাধ্যমে গণপরিবহন ভিত্তিক শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনকেও এগিয়ে আসতে হবে। ফুটপাতগুলো হাঁটার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। সড়কে গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আমাদের স্টাডি করা প্রয়োজন। ডিটিসিএ সকল অংশীজনদের সাথে নিয়ে সমীক্ষা পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করলে মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান বলেন, মেট্রোরেল, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজ, প্রয়োজনীয় সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ এবং মানসম্মত ফুটপাত তৈরিসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ চলমান রয়েছে। এর পাশাপাশি মেট্রোরেল স্টেশন, বিআরটি স্টেশন ও বাস স্টপেজের সাথে সংযুক্ত সকল সড়কে প্রশস্ত হাঁটাপথ (ফুটপাত) নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

ড. এস এম সালেহউদ্দিন বলেন, ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের তাৎপর্য আমাদের বুঝতে হবে। পথচারীকে প্রাধান্য দিয়ে গণপরিবহন ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এজন্য সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, আমাদের যেটুকু সড়ক আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। এনএমটি ও পথচারীকে প্রাধান্য দিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সড়কে যে মাধ্যমগুলোতে মানুষ বেশি যাতায়াত করে সেই মাধ্যমকে প্রাধান্য দিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

fblsk