অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নীল রঙের দুটি ড্রামের ভেতর থেকে ২৬ টুকরা খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে পরিচয় শনাক্ত করা না গেলেও পরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশ্লেষণে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হয় সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট।
বদরগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বাড়ি থেকে ঢাকায় আসেন আশরাফুল হক। বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। এরপর থেকে আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ ও আলু আমদানির ব্যবসা করতেন। এ কাজে তার সরকারি লাইসেন্সও ছিল।
নিহত আশরাফুল হকের মৃত্যুতে বদরগঞ্জের গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজনরা বলছেন, কারা কেন তাকে এমন নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
এদিকে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানান, কেন, কী কারণে এবং কারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত তা উদ্ঘাটনে আমরা কাজ করছি।
জানা যায়, দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে একটি ভ্যানে করে দুজন ব্যক্তি ড্রাম দুটি রাস্তার পাশে রেখে যায়। সন্ধ্যার দিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ড্রাম খুলে একটিতে চাল এবং অন্যটিতে কালো পলিথিনে মোড়ানো মানুষের দেহের খণ্ডিত অংশ পায়।
এরপর ঘটনাস্থলে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট এসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে মরদেহ শনাক্ত করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।
আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) নুরুল আমিন সরকার বলেন, ঢাকায় নিহত আশরাফুল হক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সঠিক। তার পরিবার বৃহস্পতিবার বদরগঞ্জ থানায় এসে নিখোঁজ হওয়ার জিডি করে। পরে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এর আগে গত দুই দিন আগে তিনি ঢাকায় গিয়ে নিখোঁজ হন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা