বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন (বামসাএ) মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে সাংবাদিক সমাবেশে বক্তারা গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার স্বার্থে অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃস্বার্থভাবে মুক্তি দেয়ার দাবি করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজী। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র মহাসচিব এম. আব্দুল্লাহ, সিনিয়র সহ সভাপতি নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, জনকল্যাণ সম্পাদক খন্দকার আলমগীর হোসেন, বামসাএ’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ভিপি সরকার মিজানুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এ কে এম মহসিন, আলী মুর্তজা, ওয়াসিউর রহমান মন্টু, যুগ্ম মহাসচিব এরশাদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলী হোসেন ফরায়েজী, প্রচার সচিব রফিকুল ইসলাম দুলাল, মো. জসীম উদ্দিন, আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের মহাসচিব মুহাম্মদ আবু হানিফ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, দেশের মানুষের এখন দুটি দাবি। ফ্যাসিবাদ, দখলদার, গণতন্ত্র হরণকারী সরকারের পদত্যাগ ও ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ের নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। ভোট ডাকাত, ব্যাংক ডাকাতির সরকার জনগণের সমর্থন ছাড়া দেশ চালাচ্ছে। সেটি আমাদের দেশ ছাড়া বিশ্বের কোন দেশে নেই। এদেশের বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। ন্যায়বিচার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। পেঁয়াজ, লবন, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উর্ধ্বগতি রেকর্ড পরিমান। উন্নয়নের নামে লাগামহীন লুটপাট চলছে। দৃশ্যমান দু’একটি প্রজেক্ট ছাড়া দুর্নীতির হরিলুট চলছে। এ অবস্থা চলতে পারে না। মানুষকে তার অধিকারের জন্য রুখে দাঁড়াতে হবে। মানুষের অধিকার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন ও খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এম. আব্দুল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়নি, সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা এবং সাংবাদিক সমাজের অভিভাবক বামসাএ’র প্রধান উপদেষ্টা শওকত মাহমুদের নামে শতাধিক মামলা, আমার দেশ সম্পাদকের নামে মিথ্যা মামলা ও শারিরীক নির্যাতনের বিচার আমরা পায়নি। বরং মিথ্যা মামলায় তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। এসকল মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার, সকল বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেওয়ার জন্যই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কোন বিকল্প নাই।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, জনগণ ও গণতন্ত্রকে জিম্মি করে অধিকার হরণ করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করতেই বেগম খালেদা জিয়াকে আদালত ব্যবহার করে বন্দী করে রাখা হয়েছে। দেশের মানুষকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। আজ সীমাহীন কষ্টের মধ্যে রয়েছে এদেশের জনগণ। এ থেকে উত্তরণ করতে হবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
শহীদুল ইসলাম বলেন, জনগণের সাথে আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং মানুষের ভোটাধিকার, মুক্তি, সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন : নারী গৃহকর্মী হোসনা আক্তারকে বাংলাদেশে প্রেরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন : পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়
ফেসবুক পেজ :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা