খালেদার জামিন শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে ৩ স্তরের নিরাপত্তা

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ ও জামিন আবেদনের পক্ষে কেবল ৩০ জন করে আইনজীবী আপিল বিভাগে থাকবে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি আজ (বৃহস্পতিবার) । এ শুনানিকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে সুপ্রিম কোর্টের চারপাশে ও সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটি ১২ নাম্বারে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতের প্রতিটি প্রবেশ পথে-ব্যাপক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিচয় পত্র দেখে প্রতিটি মানুষকে সুপ্রিম কোর্টের ভিতরে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুনানি শুরু হবে।

বাড়তি নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশের রমনা জোনের এডিসি আজিমুল হক গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

সুপ্রিম কোর্ট সহ আশে-পাশের এলাকায় মানুষের নিরাপত্তায় প্রায় ৫ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এডিসি।

গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলেন সু চি

আজ খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে আপিল বিভাগে তাঁর শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট উপস্থাপন করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে গতকাল পৌঁছেছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে নিজ নিজ সংগঠনের আইনজীবীদের আপিল বিভাগে থাকতে বলা হয়েছে। সূত্র জানায়, সুপ্রিম কোর্ট বারের তালিকাভুক্ত নয় এমন আইনজীবীদের আদালত কক্ষে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া নাও হতে পারে।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ ও জামিন আবেদনের পক্ষে কেবল ৩০ জন করে আইনজীবী আপিল বিভাগে থাকবে।

গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে মেডিক্যাল বোর্ডের প্রতিবেদন চান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তা আদালতে আসার কথা ছিল। তবে তা নির্ধারিত দিনে আদালতে না আসায় জামিন শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার কারণে ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে ব্যাপক হট্টগোল করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

Like & Share our Facebook Page: Facebook